মনির হোসেন। প্রায় ২৭ বছর সৌদি আরবে জীবনযাপন করেছেন তিনি। দীর্ঘদিন প্রবাসে থেকে খেয়ে না খেয়ে অনেক কষ্টে টাকা জমিয়ে কেরানীগঞ্জে দুটি বাড়ি, আবাসন ব্যবসা, দূরপাল্লার বাসের ব্যবসাসহ সম্পত্তি গড়েছেন। প্রতিবন্ধী সন্তানের চিকিৎসার জন্য ছুটি নিয়ে এসেছিলেন দেশে। ঢাকায় ছেলের চিকিৎসা করাতে এসে হোটেলের খাবার খেয়ে মৃত্যু হয় মনির হোসেনের। শুধু মনির নন, একই খাবার খেয়ে স্ত্রী ও প্রতিবন্ধী ছেলেও মারা গেছেন।
একই সঙ্গে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় ‘রহস্যের’ সৃষ্টি হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, হোটেল থেকে আনা খাবারে বিষক্রিয়া ছিল। খাবারে কে বিষ মিশিয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। মনিরের সহায়-সম্পত্তি দখল নিতে কেউ এটা করেছে। যাতে সম্পত্তি দখলে নেওয়া সহজ হয়।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যুর হয়েছে। তবে খাবারে কে, কখন, কীভাবে এবং কেন বিষ মিশিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া মনিরের রেখে যাওয়া সম্পত্তির ওপর কার লোভ ছিল সেটিরও তদন্ত চলছে। এরই মধ্যে পুলিশ রাজধানীর মগবাজার মোড়ে অবস্থিত ভর্তা-ভাত হোটেলের ম্যানেজার ও বাবুর্চিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত সন্দেহের তীর মনিরের চাচাতো চাচা রফিককে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।