প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নতুন আর্থিক প্রণোদনার ঘোষণা এসেছে। বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে ১০০ মার্কিন ডলার পাঠালেই অতিরিক্ত ৩০৭ টাকা ৫০ পয়সা পাচ্ছেন প্রেরক বা তার স্বজনরা। সরকার প্রতি ডলারে ২ দশমিক ৫ শতাংশ হারে এ প্রণোদনা দিচ্ছে, যার ফলে বৈধ উপায়ে প্রেরিত রেমিট্যান্সে মিলছে বাড়তি সুবিধা।
বর্তমানে প্রতি ডলার ১২৩ টাকা হিসেবে ধরলে, ১০০ ডলার পাঠালে স্বজনেরা পাচ্ছেন ১২ হাজার ৩০০ টাকা। সঙ্গে সরকারের প্রণোদনা যোগ হয়ে মোট পাওয়া যাচ্ছে ১২ হাজার ৬০৭ টাকা ৫০ পয়সা। তবে এই সুবিধা শুধুমাত্র বৈধ চ্যানেল—যেমন ব্যাংক, ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন, মানিগ্রাম, বিকাশ, নগদ ও রকেটের মাধ্যমে পাঠানো টাকার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। হুন্ডির মতো অবৈধ পথে পাঠালে এই প্রণোদনা দেওয়া হবে না।
যেসব প্রবাসীর পরিবারের ব্যাংক হিসাব নেই, তারাও পিন নম্বরের মাধ্যমে সহজেই অর্থ তুলতে পারেন। ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন বা মানিগ্রামের মাধ্যমে পাঠানো অর্থ নির্ধারিত শাখা থেকে পিন নম্বর দেখিয়ে তোলা যায় এবং সঙ্গে সঙ্গে সরকার নির্ধারিত প্রণোদনার অর্থও পাওয়া যায়। এছাড়া মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ব্যবহারের ফলে টাকা দ্রুত পৌঁছানোও সহজ হয়েছে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি জুন মাসের প্রথম ২১ দিনেই প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১৯৮ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৪ শতাংশ বেশি। আর ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ২১ জুন পর্যন্ত মোট এসেছে ২ হাজার ৯৫০ কোটি ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি।
প্রবাসী আয় বৃদ্ধির ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের অর্থনীতিতে। ডলারের সংকট অনেকটাই কমে এসেছে এবং বাজারেও স্থিতিশীলতা ফিরেছে। বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্ধারিত সর্বোচ্চ ১২৩ টাকার দরে ব্যাংকগুলো রেমিট্যান্স কিনছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সহজ প্রক্রিয়া, সরকারের প্রণোদনা এবং অর্থ পাচার রোধে উদ্যোগের ফলে প্রবাসীরা বৈধ পথে টাকা পাঠাতে আরও বেশি আগ্রহী হচ্ছেন।