বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান সামগ্রিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “শুধু ১৯৭১ সালের নয়, ১৯৪৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত আমাদের দ্বারা কেউ যদি কষ্ট পেয়ে থাকেন বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন, তাদের সবার কাছেই আমি নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করছি।” সোমবার (২৪ জুন) প্রচারিত ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দিন’ নামের একটি টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থাপক খালেদ মুহিউদ্দিন জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম যুদ্ধাপরাধের মামলায় খালাস পাওয়ার পর দেওয়া জামায়াতের প্রেস ব্রিফিংয়ের প্রসঙ্গ তুলে তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা চান। তখনই ডা. শফিকুর রহমান স্পষ্ট করে বলেন, তার ক্ষমা চাওয়ার মধ্যে শুধুমাত্র একাত্তরের নয়, তার আগের ও পরের ঘটনাও অন্তর্ভুক্ত।
তিনি বলেন, “একটি রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের ভুল হতে পারে, সিদ্ধান্তগত বিভ্রান্তি থাকতে পারে। তবে আমরা বিশ্বাস করি, ইতিহাসই শেষ পর্যন্ত নির্ধারণ করবে কোনটি সঠিক ছিল আর কোনটি ভুল। কিন্তু আমরা মানুষের কষ্টের বিষয়টি এড়িয়ে যেতে পারি না। এ কারণে কোনো শর্ত ছাড়া, সরলভাবে ক্ষমা চেয়েছি।”
আরও পড়ুন
ক্ষমা প্রার্থনার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, “ক্ষমা চাওয়া কোনো দুর্বলতা নয়, বরং এটি মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে আসা একটি সাহসী সিদ্ধান্ত। আমাদের আদর্শ মানুষকে কষ্ট না দেওয়া, কিন্তু যদি তা কোনোভাবে হয়ে থাকে, আমরা লজ্জা নয়, বরং দায়বোধ থেকেই তা স্বীকার করছি।”
এমন বক্তব্যে জামায়াতের আমির একদিকে দলের অতীতকে মানবিকভাবে মূল্যায়নের চেষ্টা করেছেন, অন্যদিকে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে একধরনের ইতিবাচক বার্তাও পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছেন।