মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার চেংগাড়া গ্রামে প্রবাসীর স্ত্রী লিপি খাতুন (২৪) হত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় লিপিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে তার নন্দাই সামাদ হোসেন (৪০) ও শাশুড়ি কোহিনুর খাতুন। বৃহস্পতিবার ভোরে ডাক্তার পাড়ায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহত লিপি খাতুন সিঙ্গাপুরপ্রবাসী উজ্জ্বল হোসেনের স্ত্রী এবং দুই সন্তানের জননী। অভিযুক্ত সামাদ মেহেরপুর সদর উপজেলার সোনাপুর গ্রামের আহসান আলীর ছেলে, আর শাশুড়ি কোহিনুর চেংগাড়া গ্রামের আজিজুল হকের স্ত্রী।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা গেছে, সামাদ দীর্ঘদিন ধরে লিপিকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। বিষয়টি লোকলজ্জার ভয়ে চেপে যান লিপি। অবশেষে বুধবার রাতে শাশুড়ির সহায়তায় তাকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে ঘরের টিনের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয় বলে পরিবারের দাবি।
আরও পড়ুন
লিপিকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শাশুড়ি ও নন্দাই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।
এ বিষয়ে গাংনী থানার ওসি বাণী ইসরাইল জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনায় এলাকায় শোক ও ক্ষোভের ছায়া নেমে এসেছে।