বিদেশে নতুন জীবনের শুরুতে নিজ মাতৃভূমি, পরিবার ও পরিচিত পরিবেশ ছেড়ে আসা প্রবাসীদের জন্য সময়টা বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে। ভাষাগত দুর্বোধ্যতা, নতুন আবহাওয়া, ভিন্ন সংস্কৃতি ও খাদ্যাভ্যাসে মানিয়ে নিতে সময় লাগে অনেকেরই। এসবের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দেশের আইন-কানুন সম্পর্কে অজ্ঞতা থেকেও নানা সমস্যার সম্মুখীন হন প্রবাসীরা।
এই পরিস্থিতিতে প্রবাসজীবনকে নিরাপদ, সম্মানজনক এবং সফল করতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম মেনে চলা খুবই প্রয়োজন। প্রথমত, প্রবাসে অবস্থানকালে সবসময় বৈধ কাগজপত্র, যেমন পাসপোর্ট, ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট হালনাগাদ রাখা অত্যন্ত জরুরি। এগুলোর মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই নবায়নের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। ‘হুরুব’ বা অবৈধ অবস্থান এড়িয়ে চলা প্রবাসীদের জন্য নিরাপত্তার দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ।
দ্বিতীয়ত, বিদেশে যাওয়ার আগেই নিয়োগকর্তার সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তিপত্র ভালোভাবে পড়ে রাখা ও সেটির কপি সংরক্ষণ করা উচিত। বেতন, কর্মঘণ্টা ও ছুটির বিষয়গুলো সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা এবং রিক্রুটিং এজেন্সির বৈধতা যাচাই করাও প্রয়োজন। এতে প্রতারণার আশঙ্কা অনেকটা কমে যায়।
আরও পড়ুন
তৃতীয়ত, প্রবাসে যেকোনো জটিলতার সময় সংশ্লিষ্ট দেশের বাংলাদেশ দূতাবাস, কনস্যুলেট বা প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা অত্যন্ত জরুরি। দূতাবাসের হটলাইন নম্বর সংরক্ষণ করে রাখা উচিত, যেন প্রয়োজনে দ্রুত সহায়তা পাওয়া যায়।
এছাড়া প্রবাসে স্থানীয় আইন জানা এবং তা মেনে চলা সুশৃঙ্খল জীবনযাপনের জন্য অপরিহার্য। ভিসার সীমাবদ্ধতা অনুযায়ী কাজ করা, স্থানীয়দের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা এবং অপ্রয়োজনীয় ঝামেলা এড়িয়ে চলা নিরাপদ থাকার অন্যতম উপায়।
সবশেষে, প্রবাসে নিজ দেশের কমিউনিটির সঙ্গে যুক্ত থাকা খুবই উপকারী। এতে সামাজিক বন্ধন দৃঢ় হয় এবং যে কোনো সংকটে দ্রুত সহায়তা পাওয়া সম্ভব হয়। বিভিন্ন সামাজিক বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাধ্যমেও প্রবাসজীবন হয়ে উঠতে পারে আরও প্রাণবন্ত ও সমৃদ্ধ।