দালালদের টাকা দিলে কাজ দ্রুত হয়, অন্যথায় ভোগান্তি

passport

গাজীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ে পাসপোর্ট করতে আসা সাধারণ মানুষ দালালদের দৌরাত্ম্যের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সেবাগ্রহীতাদের ভাষ্য, সরাসরি আবেদন করলে বিভিন্ন অজুহাতে তাদের হয়রানি করা হয়, অথচ দালালদের মাধ্যমে কাজ করলে সবকিছু দ্রুত এবং সহজেই সম্পন্ন হয়। এই ‘সহযোগিতা’র জন্য দালালরা সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে এক থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করছেন।

জয়দেবপুর-ঢাকা সড়কের পালের মাঠ এলাকায় নতুন ভবনে কার্যালয়টি স্থানান্তরিত হওয়ার পরও দালালদের এই দৌরাত্ম্য কমেনি। সরেজমিনে দেখা গেছে, কার্যালয়ের ভেতরে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন সাধারণ আবেদনকারীরা, যেখানে আঙুলের ছাপ ও ছবি তোলার জন্য দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগছে। অথচ, দালালদের মাধ্যমে আসা ব্যক্তিরা সরাসরি ভেতরে প্রবেশ করে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যেই তাদের কাজ শেষ করে চলে যাচ্ছেন।

ভুক্তভোগীরা জানান, দালালেরা অফিসের সামনের সড়কের দুই পাশের দোকানে বসে পাসপোর্ট ফরম পূরণ ও ব্যাংক ড্রাফটের কাজ করে দেন। এমনকি, কালিয়াকৈরের এক যুবক বয়স বাড়িয়ে পাসপোর্ট করতে চাইলে দালালরা অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে তা সাত দিনের মধ্যেই করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে, যেখানে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় কয়েক মাস লাগার কথা। অফিসের উপপরিচালক নাসরিন পারভিন অবশ্য দাবি করেছেন যে, তিনি যোগদানের পর দালালদের ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না। তবে, অফিসের বাইরে দালালদের সক্রিয় উপস্থিতি এবং তাদের মাধ্যমে দ্রুত কাজ সম্পন্ন হওয়ার অভিযোগ কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবকেই স্পষ্ট করে তোলে।

সেবাগ্রহীতারা দ্রুত এই দালাল চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার এবং হয়রানি মুক্ত পরিবেশে পাসপোর্ট সেবা পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তাদের অভিযোগ, দালালদের কারণে একদিকে যেমন অতিরিক্ত অর্থ খরচ হচ্ছে, তেমনি অন্যদিকে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের উচিত অবিলম্বে এই অনিয়ম বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া, যাতে সাধারণ মানুষ কোনো প্রকার হয়রানি ছাড়াই তাদের পাসপোর্ট তৈরি করতে পারেন।

আরও দেখুনঃ

whatsappচ্যানেল ফলো করুন

প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।

Probashir city web post