সিলেটের গোয়াইনঘাট সীমান্তে এক উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় যখন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) একটি খেলার মাঠ দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের দৃঢ় প্রতিরোধের মুখে বিএসএফ সদস্যরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্বজাফলং ইউনিয়নের নলজুরী আমস্বপ্ন সীমান্তের ১২৭৮ নম্বর পিলার এলাকায় ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিএসএফ সদস্যরা নলজুরী আমস্বপ্ন সীমান্তে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত একটি খেলার মাঠ জরিপ করতে আসে। জরিপের সময় তারা মাঠের কিছু অংশ নিজেদের বলে দাবি করে। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় জনতা তাৎক্ষণিকভাবে এর প্রতিবাদ জানায় এবং বিএসএফ সদস্যদের বাধা প্রদান করে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। স্থানীয়দের প্রবল প্রতিরোধের মুখে বিএসএফ জরিপ কাজ সম্পন্ন না করেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। তবে, পরিস্থিতি শান্ত রাখতে তাৎক্ষণিকভাবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
হাসিনার পতনের পর দেশটা হুট করে সবার বাপের হয়ে গেছে। তাই এক ছটাক জমি দখল… pic.twitter.com/Nka4be9qCm
আরও পড়ুন
— Voice Of Bangladeshi Muslims 🇧🇩 (@VOBMUSLIMs) May 8, 2025
নলজুরী গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা শাহজাহান মিয়া জানান, সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে একটি খেলার মাঠ রয়েছে, যেখানে স্থানীয় যুবকরা নিয়মিত ক্রিকেট খেলে। বৃহস্পতিবার সকালে বিএসএফ সদস্যরা জোরপূর্বক মাঠের ভেতরে নতুন করে পিলার বসানোর চেষ্টা করে, যা বাংলাদেশের সীমান্তের ভেতরে অবস্থিত। এই ঘটনার খবর পেয়ে বিজিবি এবং এলাকার স্থানীয়রা একযোগে বাধা দেয়। তবে, স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হক জানান, সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে একটি যৌথ জরিপ কাজ চলছে। ২০১৫ সালের এক জরিপে নলজুরী সীমান্ত এলাকার কিছু অংশ ভারতের দিকে পড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল, যা স্থানীয়রা মানতে নারাজ। মূলত এই পুরনো ইস্যুকে কেন্দ্র করেই নলজুরী সীমান্তে বিএসএফের সঙ্গে একটি ছোটখাটো গণ্ডগোল বাঁধে। তবে, বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ শান্ত রয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেন। এই ঘটনায় সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলেও, স্থানীয়দের তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ এবং বিজিবি’র হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।
