টাঙ্গাইলে জবরদখল ও চাঁদা কাণ্ড: সমন্বয়ক মিষ্টির বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতার

টাঙ্গাইলে জবরদখল ও চাঁদা কাণ্ড: সমন্বয়ক মিষ্টির বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতার

টাঙ্গাইলে প্রাক্তন সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলামের বাসভবনে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও দখলের চেষ্টার অভিযোগে মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টি নামে এক ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়দানকারী নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার রাতে শহরের পশ্চিম আকুর-টাকুরপাড়া (হাউজিং) এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টি বাসাইল উপজেলার ফুলকী ইউনিয়নের জশিহাটী গ্রামের মাজহারুল ইসলামের কন্যা এবং শহরের আকুর টাকুর পাড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।

টাঙ্গাইলে জবরদখল ও চাঁদা কাণ্ড: সমন্বয়ক মিষ্টির বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতার

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর সমন্বয়ক পরিচয়ে মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টি শনিবার দুপুরে শহরের ছোটকালীবাড়ির জোয়াহেরুল ইসলামের ছয়তলা বাসভবনের তালা ভেঙে প্রায় ২০ জন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে নিয়ে জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা চালান।

এই ঘটনায় জেলাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে, রাতেই যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে বাড়িটি দখলমুক্ত করে এবং মিষ্টিকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়।

পরে মুচলেকা দিয়ে থানা থেকে মুক্তি পেলেও, রবিবার প্রাক্তন সাংসদের স্ত্রী রওশন আরা খান বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পরই মিষ্টিকে ফের গ্রেফতার করে পুলিশ।

টাঙ্গাইলে জবরদখল ও চাঁদা কাণ্ড: সমন্বয়ক মিষ্টির বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতার

মামলার বাদী রওশন আরা খান অভিযোগ করে বলেন, “মিষ্টি প্রথমে আমার কাছে ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। সেই টাকা দিতে অস্বীকার করায় তারা আমার বাড়ি জবরদখল করে নেয়। আমি এ ঘটনার ন্যায়বিচার চাই, কারণ বাড়িটি আমার নামে, আমার স্বামীর নয়।”

টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদ জানান, “রবিবার প্রাক্তন সাংসদ জোহেরুল ইসলামের স্ত্রী রওশন আরা বাদী হয়ে মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”

 

আরও দেখুনঃ