স্ত্রীর মামলায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন প্রবাসী

বস্ত্রীর মামলায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন প্রবাসী

ভরণপোষণ না দেওয়া ও নির্যাতনের অভিযোগে স্বামী এবং তার স্বজনদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে এক গৃহবধূ। আর এ মামলা থেকে বাঁচতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন সেই স্বামী। তার দাবি, পরকীয়ায় আসক্ত তার স্ত্রী। তবে বিষয়টিকে নাকচ করে দিয়েছে তার স্ত্রী ও ‘কথিত’ প্রেমিক। ঘটনাটি লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার চরমোহনা ইউপির বাবুরহাট এলাকার।

গত ২৬ জানুয়ারি প্রবাসী স্বামী আলতাফ হোসেন (৪৫) ও তার ভাইসহ পাঁচজনের নামে আদালতে দুটি মামলা করেছেন গৃহবধূ কামরুন নাহার। এরপর থেকেই বাড়ি ছাড়া তারা।

আলতাফ বাবুরহাট এলাকার সুফি সাহেবের বাড়ির মৃত এছহাক মিয়ার ছেলে। তিনি সৌদি আরবে থাকেন। ছুটিতে দেশে এসেছেন বলে জানা গেছে। আলতাফ-কামরুন নাহার দম্পতির ঘরে দুই সন্তান রয়েছে।

আলতাফ হোসেন জানান, ২৫ বছর আগে সৌদিতে পাড়ি জমান তিনি। দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকার কারণে তার বৈবাহিক জীবনে নেমে এসেছে কালো মেঘ। তারই চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে স্ত্রীর পরকীয়া চলছে, যা তার সুখ কেড়ে নিয়েছে। বিষয়টি শ্বশুরবাড়ির লোকদের জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। এলাকার মুরব্বিদের নিয়ে সালিশি বৈঠক হলেও কোনো সুরাহা হয়নি।

আলতাফ হোসেন বলেন, আমি বিদেশে থাকার সুযোগে আমাদের বাড়ির রাসেল আমার স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করতো। একপর্যায়ে সেই উত্ত্যক্ত পরকীয়ায় রূপ নেয়। শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের বিষয়টি জানালেও কোনো লাভ হয়নি। বিদেশ থেকে স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে চার লাখ টাকা পাঠিয়েছে। ছেলের নামে চার লাখ টাকা ডিপোজিট করা ছিল। সব টাকা রাসেলকে দিয়ে দিয়েছে আমার স্ত্রী। সে টাকায় রাসেল এখন ব্যবসা করছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন বলেন, আলতাফের স্ত্রীর সঙ্গে রাসেলের পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে। রাসেলের পরিবার খারাপ প্রকৃতির হওয়ায় এ বিষয়ে কেউ প্রতিবাদ করে না। রাসেল ও আলতাফের স্ত্রীর বিরুদ্ধে বাড়ির মুরুব্বিরা কয়েকদিন আগে সালিশি বৈঠক করেন। কিন্ত আলতাফের স্ত্রী ও রাসেল নমনীয় না হওয়ায় কোনো সমাধান হয়নি।

অভিযোগের বিষয়ে আলতাফের স্ত্রী কামরুন নাহার বলেন, ‘পরকীয়ার অভিযোগ মিথ্যে। এ অভিযোগে ১১ মাস ধরে আলতাফ আমাদের ভরনপোষণ দিচ্ছে না। আমাকে মানসিক নির্যাতন করছে সে। কয়েকদিন আগে তার বড় ভাই ও ভাতিজাকে দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমার ছেলেকে হত্যার চেষ্টা করে। থানায় মামলা করতে গেলে সাবেক চেয়ারম্যানকে দিয়ে বাধা দেয়। তাই বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা করেছি। যা হবে আদালতেই সিদ্ধান্ত হবে।’

কথিত প্রেমিক রাসেল বলেন, ‘ভাবির সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক নেই। তার সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক। আলতাফ ভাই বাড়িতে না থাকায় বিভিন্ন সময় ভাবির অনেক কাজ আমি করে দিতাম।

আরও দেখুনঃ

whatsappচ্যানেল ফলো করুন

প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।

Probashir city web post