ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দরের প্রধান সড়ক অবরোধের ফলে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি ইমিগ্রেশন কার্যক্রমও স্থগিত থাকায় যাত্রী পারাপারেও অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলীয় নেতা ও বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য বন্ধের দাবিতে এই অবরোধের ডাক দেন। ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তে প্রধান সড়কে মঞ্চ তৈরি করে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এই অবরোধ কার্যকর হয়।
ভোমরা স্থলবন্দরের সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২৫০টি পণ্যবাহী ট্রাক এই বন্দরের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনা করে। বর্তমানে পাথর, চাল এবং পেঁয়াজের মতো পণ্য আমদানি বেশি হলেও রপ্তানি হচ্ছে সীমিত পরিমাণে জুস, কুড়োর তেল ও গার্মেন্টস সামগ্রী। অবরোধের কারণে বন্দর কার্যক্রম স্থগিত থাকায় এই বাণিজ্যে স্থবিরতা নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন
ইমিগ্রেশন কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ভ্রমণকারীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। দূর-দূরান্ত থেকে আসা অনেক যাত্রী বাধ্য হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। পাটকেলঘাটার যাত্রী আবেদ আলী বলেন, “ঘোজাডাঙ্গায় অবরোধের খবর না জানায় এখানে এসে দেখি ইমিগ্রেশন বন্ধ। এখন ফেরত যাওয়া ছাড়া উপায় নেই।”
ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি অহিদুল ইসলাম জানান, অবরোধ তুলে নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বিকেলের মধ্যে। সেই সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমও পুনরায় শুরু হতে পারে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।