পাকিস্তানের করাচিতে একটি পুরনো আবাসিক ভবন ধসের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ জনে। শনিবার (৬ জুলাই) রাষ্ট্রীয় উদ্ধার সংস্থা রেসকিউ ১১২২-এর মুখপাত্র হাসান উল হাসিব খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, উদ্ধার কাজ এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে এবং বেশিরভাগ ধ্বংসাবশেষ ইতোমধ্যেই অপসারণ করা হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে অন্তত ১৫ জন নারী ও তিনজন শিশু রয়েছে বলে জানানো হয়। আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধার অভিযান শুরু হয়, যা ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে। ধ্বংসাবশেষ সরাতে ব্যবহার করা হয় ভারী যন্ত্রপাতি ও আধুনিক উদ্ধার সরঞ্জাম।
আরও পড়ুন
স্থানীয় প্রশাসনের বরাত দিয়ে চীনা সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানায়, ধসে পড়া ভবনটি প্রায় ৩০ বছর পুরনো ছিল এবং আগেই একে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। ভবনটি ধসে পড়ার পর আশপাশের আরও দুটি ভবনকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে খালি করে দেওয়া হয়েছে।
ভবন ধসের কারণ অনুসন্ধানে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি ভবনের নির্মাণ মান, রক্ষণাবেক্ষণের অবস্থা এবং প্রশাসনিক ত্রুটি নিয়ে কাজ করবে বলে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (৪ জুলাই) করাচির এই পাঁচতলা ভবনটি ধসে পড়ে। প্রথমে সাতজন নিহত ও ১০ জন আহত হওয়ার খবর জানা গেলেও, পরে নিহতের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে রোববার পর্যন্ত ২৭-এ পৌঁছায়। স্থানীয় প্রশাসন ও উদ্ধারকর্মীরা জানায়, ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়া বাকি লোকজনকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।