কুয়েতে উচ্চ বেতনে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া তিন আসামিকে ৩ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত। রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (ওয়ারী) বিভাগের (সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ী চুরি প্রতিরোধ টিম লিডার) সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহফুজুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মাহফুজুর রহমান বলেন, “গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে আদালত ৩ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছে।”
তিনি আরো জানান, “রবিবার রিমান্ডের প্রথম দিনে সেই আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে, পূর্ণ তদন্তের স্বার্থে আসামিদের দেয়া তথ্যের আলোকে আরো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।” তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানান তিনি। এর আগে বিদেশে লোক পাঠানোর নাম করে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি টাকা আত্মসাৎ করা এমন একটি চক্রের তিন সদস্যকে শুক্রবার গভীর রাতে রাজধানীসহ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী গোয়েন্দা বিভাগ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. শরিফুল ইসলাম (৪২), আবরার জাওয়ার তন্ময় ওরফে রেজাউল করিম রেজা ওরফে হৃদি মাহজাবিন (২৬) ও আহিয়ান শিশির ওরফে কামরুজ্জামান শিশির (২৯)। ডিবি জানায়, প্রতারক চক্রটি বিদেশে লোক পাঠানোর নাম করে আল সাফার ইন্টারন্যাশনাল নামে গুলশানে অফিস খোলে। পরে ফেইসবুকে ভুয়া পেইজে বিজ্ঞাপন দিয়ে কুয়েতে উচ্চ বেতনে চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে।
এ বিষয়ে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, “চক্রটি বলে যে, আপনাদের তিন দিনের একটা ট্রেনিং করতে হবে। তারা ট্রেনিং করে, তারপর তাদের একটা সার্টিফিকেট দেয়া হয়। তখন জাল ভিসা, পাসপোর্ট, ট্রেনিং সার্টিফিকেট নিয়ে এই ব্যক্তিটি যখন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জেলা জনশক্তি কার্যালয়ে যায় এবং জনশক্তি কার্যালয় যখন কুয়েতের নম্বর দিয়ে এটি চেক করে তখন তারা মনে করে ওই ব্যক্তির ভিসা আছে। তারপর ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিলে এটি অ্যাপ্রুভ হয়।”
প্রতারকরা অর্ধশতাধিক মানুষের সাথে প্রতারণা করে এক কোটি ৩৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত চল্লিশটি পাসপোর্ট, ৯টি জাল ভিসা, ভুয়া বিএমইটি কার্ডের ফটোকপিসহ মোবাইল ও সীম উদ্ধার করেছে ডিবি।
আপনার মন্তব্য: