আল-মাওয়াদ্দাহ মসজিদ, সিঙ্গাপুর। প্রতি শুক্রবার এ মসজিদে ব্যতিক্রমধর্মী কাজে নিয়োজিত এক অমুসলিম যুবকের দেখা মেলে। প্রচণ্ড গরমেও মসজিদের বাইরে বসে মুসল্লিদের জুতাগুলো সোজা করে সারি সারিভাবে সাজিয়ে রেখে প্রশান্তি লাভ করে।
অ্যাংকল স্টিভেন। সে অমুসলিম। শুক্রবার শুধু মুসল্লিদের জুতা সোজা করে সাজিয়ে রাখায় আনন্দ পায় সে। এ আনন্দ অনুভূতি থেকেই প্রতি শুক্রবার সিঙ্গাপুরের আল-মাওয়াদ্দাহ মসজিদের সামনে চলে আসে। ইমরান মুস্তাফা নামের এক স্কুল শিক্ষক মুসল্লি তার ফেসবুকওয়ালে তুলে ধরে এ ঘটনা। যা খবর আকারে প্রকাশ করেছে ইলমফিড.কম।
ফেসবুকে ইরফান মুস্তাফা জানান, ‘মুসল্লিরা মসজিদে এসে যখন প্রচণ্ড সূর্যের তাপে বাইরে অবস্থান করতে পারে না। মসজিদের ভেতরে এসিতে নামাজ আদায় করে তখন অ্যাংকল স্টিভেন প্রচণ্ড গরমের মধ্যেই মুসল্লিদের জুতা সারি সারি করে সাজিয়ে রাখতে ব্যস্ত সময় পার করে।
অ্যাংকল স্টিভেন জানায়, মসজিদের বাইরে জুতাগুলো সারি সারি সাজিয়ে রাখলে সুন্দর দেখা যায়। আমি মসজিদের কাছাকাছিই থাকি এবং প্রতি শুক্রবার আসার চেষ্টা করি। এ কাজটি আমি কেন করি, তা আমার জানা নেই তবে সারি সারি সাজানো জুতাগুলো দেখতে আমার ভালো লাগে। আর মসজিদে এসে এ কাজ করে আমি প্রশান্তি লাভ করি।
আরো পড়ুনঃ ওমানে সম্পূর্ণ চালু অবস্থায় বিক্রি হবে একটি সুপার মার্কেট
অ্যাকংল স্টিভেন অনুপ্রেরণাদানকারী সমাজ সচেতন মানুষ। সাজানো-গোছানো ও সুন্দর পরিপাটি যে কোনো জিনিস দেখতে কার না ভালো লাগে? ভালো কাজ করতে চাইলে যে কোনো সময় যে কোনো জায়গা থেকেই করা যায়। প্রয়োজন শুধু একটি ইতিবাচক মানসিকতার।
অমুসলিম হয়েও অ্যাংকল স্টিভেন মুসলিমদের অগোছালো জুতাগুলো সারি সারি সাজিয়ে রেখে সেই ইতিবাচক মানসিকতা পরিচয় ও অনুপ্রেরণা তুলে ধরেছেন। শুভ কামনা অ্যাংকল স্টিভেনের প্রতি…
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post