পবিত্র কাবা ঘরে স্থাপিত দরজার নকশাকার প্রকৌশলী মুনির আল জুনদি মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) জার্মানির একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
গলফ টুডের খবরে বলা হয়েছে, ১৯৭০ সালে সৌদির তৎকালীন বাদশাহ খালেদ বিন আবদুল আজিজ সোনা দিয়ে পবিত্র কাবা ঘরের একটি দরজা নির্মাণের নির্দেশ দেন। সেই দরজার নকশা করার জন্য নির্বাচন করা হয় প্রকৌশলী মুনির আল জুনদিকে।
প্রকৌশলী মুনির আল জুনদির জন্ম সিরিয়ার হেমস শহরে। নকশাকার হিসেবে পবিত্র কাবার দরজার ওপর তার নাম লেখা আছে। সিদ্ধান্ত মতে দরজার নকশাটি প্রস্তুত করা হয় জার্মানিতে। তবে সৌদি সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, নকশার কাজ অবশ্যই কোনো মুসলিম প্রকৌশলীকে করতে হবে, যেন তার নাম দরজায় লিখে রাখা যায়। অবশেষে মুনির আল জুনদি এই দায়িত্ব পান।
সৌদি রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা বাদশাহ আবদুল আজিজ পবিত্র কাবা ঘরের দরজা নির্মাণের দায়িত্ব মক্কার আলে বদর পরিবারের ওপর অর্পণ করেন। প্রায় দেড় বছরের মধ্যে দরজার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয় বলে এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন সৌদির ইতিহাস বিশেষজ্ঞ মানসুর আল আসসাফ।
আরো পড়ুনঃ ১০ দিন পরেই ওমানে নতুন আইন কার্যকর
তিনি আরও জানান, এরপর ১৩৯৮ হিজরিতে (১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দ) বাদশাহ খালেদ বিন আবদুল আজিজ আহমদ বিন বদরকে খাঁটি সোনা দিয়ে পুনরায় দরজা নির্মাণ করতে বলেন। তখন প্রকৌশলী মুনির আল জুনদি নকশাটি করেন। দরজাটির দৈর্ঘ্য তিন মিটার ও প্রস্থ দুই মিটার। এর পুরুত্ব প্রায় অর্ধ মিটার। থাইল্যান্ডে উৎপাদিত ম্যাকা কাঠ দিয়ে দরজাটি তৈরি করা হয়। এই কাঠ বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান কাঠ বলে স্বীকৃত।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post