দুইদিনের সফরে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। সোমবার (২২ এপ্রিল) তিনি ঢাকা পৌঁছবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
গত জানুয়ারিতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নতুন সরকার গঠনের পর মধ্যপ্রাচ্যের কোনও দেশ থেকে এটিই প্রথম উচ্চপর্যায়ের সফর।
রোববার (২১ এপ্রিল) কাতারের আমিরের সফর উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, কাতারের আমিরের ঢাকা সফরের সময় ১১টি দলিল সই হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এগুলোর মধ্যে ছয়টি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক।
চুক্তিগুলো হচ্ছে: দ্বৈতকর পরিহার, আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা, সাগরপথে পরিবহন, বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা, দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বদলি ও যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন সংক্রান্ত চুক্তি।
সমঝোতা স্মারকের মধ্যে রয়েছে: শ্রমশক্তি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, বন্দর পরিচালনা, উচ্চ শিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা, যুব ও ক্রীড়া সহযোগিতা এবং কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ সহযোগিতা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কাতার মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজার; যেখানে প্রায় ৪ লাখ বাংলাদেশি কর্মরত আছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাতারের আমিরের সফরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে জ্বালানি বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে বহুমুখী আলোচনা হবে।
মন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, এছাড়া বিপুল অঙ্কের সার্বভৌম তহবিল রয়েছে কাতারের এবং বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনাময় বিনিয়োগের উৎস হতে পারে ওই তহবিল। একইসঙ্গে বাংলাদেশের জন্য জ্বালানি আমদানির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসও কাতার।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর, বন্ধুত্বপূর্ণ ও বহুমুখী। কাতার বঙ্গবন্ধুর সরকারকালিন (১৯৭৪ সালে) বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী অন্যতম মুসলিম রাষ্ট্র।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post