ইসরাইলে আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ইরান হামলা চালাতে পারে বলে সতর্ক করেছে মার্কিন গোয়েন্দারা। এ লক্ষ্যে তেহরান প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সম্প্রতি সিরিয়ায় থাকা ইরানের কনস্যুলেট অফিসে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। ওই ঘটনার পর ইসরাইলের বিরুদ্ধে চরম প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে তেহরান।
আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থা ও গণমাধ্যমগুলো বলছে, ইতোমধ্যে হামলার প্রস্তুতি নিয়েছে ইরান। যেকোনো সময় মধ্যপ্রাচ্যের যেকোনো জায়গায় ইসরাইলি স্বার্থে আঘাত হানতে পারে ইরান। এ নিয়ে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার পাশাপাশি আতঙ্ক বিরাজ করছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ইসরাইলের মাটিতে ইরানের সম্ভাব্য হামলা ঠেকাতে তেল আবিব প্রস্তুতি নিচ্ছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই হামলা সংঘটিত হতে পারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জানিয়েছে, ইসরাইলের উত্তর বা দক্ষিণ অঞ্চলে এই হামলা হতে পারে।
তবে ইরান সরকারের ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জানিয়েছে, তেহরান ইসরাইলে হামলার ব্যাপারে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি।
রয়টার্স জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে বিরাজমান পরিস্থিতির কারণে ইরানের রাজধানী তেহরানে ফ্লাইট পরিচালনা স্থগিতের সময় বাড়িয়েছে জার্মান বেসামরিক বিমান পরিবহণ সংস্থা লুফথানসা।
সিরিয়ায় ইরানের দূতাবাসে ইসরাইলি হামলার পাল্টায় ইরান হামলা চালাতে পারে—এমন শঙ্কা থেকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে লুফথানসা। ইরানের একটি বার্তা সংস্থা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে জানায়, সামরিক মহড়ার জন্য তেহরানের আকাশসীমা বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু পরে ওই বার্তা সরিয়ে সংস্থাটি বলেছে, এমন কোনো খবর তারা প্রকাশ করেনি।
ইরানের পাল্টা হামলার শঙ্কায় ১ এপ্রিল থেকে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। ওই দিন সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাস প্রাঙ্গণে ইসরাইলের জঙ্গিবিমান থেকে বোমা ফেলা হয়।
লুফথানসা বৃহস্পতিবার বলেছে, ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত তেহরানের সব ফ্লাইট স্থগিত করেছে তারা। এর মধ্য দিয়ে ফ্লাইট স্থগিতের সময় দুই দিন বাড়িয়েছে তারা। লুফথানসার একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, উড়োজাহাজের ক্রুদের যাতে তেহরানে রাত যাপনের জন্য অবতরণ করতে না হয়, সে জন্য গেল সপ্তাহান্ত থেকে ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে তেহরানে ফ্লাইট না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
পশ্চিমা বিমান সংস্থাগুলোর মধ্যে শুধু লুফথানসা ও এর সহযোগী বিমান পরিবহণ সংস্থা অস্ট্রিয়ান এয়ারলাইন্সই তেহরানে ফ্লাইট পরিচালনা করে। টার্কিশ এয়ারলাইন্স ও মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক বিমান পরিবহণ সংস্থাগুলোই সাধারণত সেখানে যাত্রী পরিবহণ করে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post