রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এবার কাতারে কোনও প্রবাসী মৃত্যুবরণ করলে অর্ধেক খরচে মরদেহ দেশে নিয়ে আসবে বাংলাদেশ বিমান।
এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে কাতার প্রবাসীরা বলছেন- ভবিষ্যতে যাতে এই ধারা অব্যাহত রেখে বিনা খরচে পরিবহন করা হয় প্রবাসীদের মরদেহ।
প্রবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এবার কাতার প্রবাসীদের মরদেহ অর্ধেক খরচে বহন করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এর আগে কোনও প্রবাসীর মরদেহ পাঠাতে খরচ হতো ৩৬০০ কাতারি রিয়াল অর্থাৎ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা।
এখন তা কমিয়ে ১৮০০ কাতারি রিয়াল বা ৬০ হাজার টাকা দিয়ে প্রবাসীদের মরদেহ খুব দ্রুততম সময়ে পাঠানো যাবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ বিমানের কান্ট্রি ম্যানেজার মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন।
শুধুমাত্র দেশটিতে অবস্থানরত বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে মৃত ব্যক্তির একটি সার্টিফিকেট নিয়ে বিমান অফিসে আসলেই এই সুবিধা পাবে নিহত পরিবারের স্বজনরা।
যাদের র্যামিটেন্সের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হচ্ছে আর যেসব প্রবাসী বিদেশে মারা যাচ্ছে তাদের মরদেহ পাঠানোর খরচ ৫০% কমানোর জন্য বাংলাদেশ বিমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ সংস্থা কাতারের সভাপতি মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম।
কাতারে এর আগে কোনও প্রবাসীর মৃত্যু হলে মরদেহ দেশে নেয়ার জন্য নিজেরাই বা কাতারি মালিককে খরচ বহন করতে হত। এই ঝামেলার কারণে অনেক সময় বাধ্য হয়ে লাশ কাতারে দাফন করা হয়েছে।
তাই সরকারি খরচে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রবাসী শ্রমিকের মৃত্যু হলে লাশটি যেন বিনাখরচে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয় এমন দাবি জানান কাতার বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ই এম আকাশ।
বর্তমান কোনও প্রবাসীর মরদেহ দেশে গেলে বিমানবন্দর থেকে তার পরিবারকে ৩৫ হাজার টাকা দেয়া হয় দাফনের জন্য। পরে আরও ৩ লাখ টাকা দেয়া হয় তার পরিবারের খরচের জন্য।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post