পাসপোর্ট দেওয়ার মাধ্যমে প্রবাসীদের দাবি পূরণ করলেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান। দাবি পূরণের আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রবাস স্কিম ও বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানো বিষয়ক এক প্রচারণা সভা করেন হাইকমিশনার।
সভায় উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিশেষ ব্যবস্থাপনায় পাসপোর্ট প্রদানের দাবি উত্থাপন করেন হাইকমিশনারের কাছে।
তারা বলছিলেন, পোস্ট অফিস অথবা সরাসরি হাইকমিশন থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে একদিন চলে যায়। একদিন ছুটি নিলে বেতনও কেটে রাখে মালিকপক্ষ। এসময় হাইকমিশনার প্রবাসীদের দাবি পূরণের আশ্বাস দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ ও ১৬ মার্চ সেলাঙ্গর রাজ্যের ক্লাং অগ্রণী রেমিট্যান্স হাউজ থেকে সরাসরি প্রবাসীদের পাসপোর্ট দিচ্ছে হাইকমিশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ। দ্বিতীয় দিন চলছে পাসপোর্ট বিতরণ কার্যক্রম। কাঙ্ক্ষিত পাসপোর্ট পেতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন প্রবাসীরা।
শনিবার (১৬ মার্চ) মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গর রাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনের পাসপোর্ট ও ভিসা উইংয়ের কাউন্সেলর মিয়া মোহাম্মাদ কেয়ামউদ্দিন জানান, অনলাইনে যারা আবেদন করেছিলেন, ক্লাং অগ্রণী রেমিট্যান্স হাউজ থেকে তাদের পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে।
প্রথম দিন শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৩৫০টি পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়। শনিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে এ কার্যক্রম।
দুদিনের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় প্রায় ৫ শতাধিক প্রবাসী পাসপোর্ট সেবা পাবেন বলে জানিয়েছেন কাউন্সেলর মিয়া মোহাম্মাদ কেয়ামউদ্দিন। সেবা প্রদানে পাসপোর্ট ও ভিসা উইংয়ের কাউন্সেলরের সঙ্গে রয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ছাইদুল ইসলাম ও অফিস সহকারী মোহাম্মদ এমদাদ হোসাইন চৌধুরী।
মিয়া মোহাম্মাদ কেয়ামউদ্দিন জানান, যেসব পাসপোর্ট আবেদনকারীর তথ্য অনলাইনে থাকবে, শুধুমাত্র তারাই সরাসরি উপস্থিত হয়ে পাসপোর্ট নিতে পারবেন। এছাড়া পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পাসপোর্ট বিতরণের সার্ভিসটিও চালু থাকবে।
পাসপোর্ট নিতে আসা মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান ও মনিরুল ইসলাম বলেন, সরাসরি পাসপোর্ট হাতে পেয়ে আমরা খুশি। এখন যথাসময়ে ভিসা করতে পারবো।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post