যুক্তরাষ্ট্রে মার্কিন কংগ্রেসে বিপুল ভোটে পাস হয়েছে সামাজিক প্ল্যাটফর্ম টিকটক নিষিদ্ধ করার বিল।
মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে বুধবার (১৩ মার্চ) অ্যাপটি নিষিদ্ধ করার বিল ৩৫২-৬৫ ভোটে পাস হয়েছে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বাইটড্যান্সকে প্রায় ছয় মাস সময় দেবে টিকটক বিক্রি করতে। এই সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপটির মালিকানা যদি বাইটড্যান্স ছেড়ে না দেয় তবে গুগল এবং অ্যাপলের মতো অ্যাপ স্টোরগুলো থেকে নিষিদ্ধ হবে টিকটক।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১৭ কোটি নাগরিক অ্যাপটি ব্যবহার করেন। হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে দুই দলেরই সমর্থন পেয়েছে বিলটি। এর পক্ষে পড়েছে ৩৫২ ভোট, আর বিপক্ষে পড়েছে মাত্র ৬৫ ভোট।
মার্কিন কংগ্রেসে বিলটি পাসের ক্ষেত্রে বিরল ঐকমত্য দেখা গেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও বলেছেন, বিলটি তার ডেস্কে আসলে তিনি তাতে স্বাক্ষর করবেন।
এখনো স্পষ্ট নয় সিনেটে আইনটির ভাগ্য কী হবে। কারণ বিদেশি অ্যাপগুলোকে নিয়ন্ত্রণের জন্য ভিন্ন রকম পদ্ধতি অবলম্বন করলে তা নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।
একই সঙ্গে, ডেমোক্রেটিক সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠের নেতা চাক শুমার বিলটি সম্পর্কে কী পরিকল্পনা করছেন তা এখনো জানা যায়নি।
বিলটি পাসে আইনপ্রণেতারা যুক্তি দিয়ে বলেছেন যে, টিকটক জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, বাইটড্যান্সের বিরুদ্ধে চীনা সরকার গোয়েন্দা আইন ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপ ব্যবহারিকদের তথ্য পেয়ে যেতে পারে।
এই বিল পাসে বিভিন্ন ধরনের ভূমিকা রাখছে রাজনৈতিক দলগুলো। টিকটক নিষিদ্ধ করার প্রবক্তা ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
অন্যদিকে, ডেমোক্রেটিক পার্টি পড়ছে তরুণ প্রগতিশীলদের চাপের মুখে।
অন্যদিকে, টিকটকের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এবং বেইজিং বিল পাসের প্রচেষ্টা সম্পর্কে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই উদ্যোগকে ‘গুন্ডামি’ বলে অভিহিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়ে গেছে টিকটক।
টিকটক কর্তৃপক্ষ এই বিলকে ব্যবহারকারীদের মত প্রকাশের স্বাধীনতার সাংবিধানিক অধিকারের ওপর আক্রমণ বলে অভিহিত করছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post