গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলায় বাবা-মায়ের ইচ্ছা পূরণে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে গেলেন এক প্রবাসী। বিয়ে করে হেলিকপ্টারে করেই স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন প্রবাসী।
বর মালয়েশিয়া প্রবাসী মুরসালিন হাওলাদার কোটালিপাড়া উপজেলার দিঘলীয়া গ্রামের সিদ্দিক হাওলাদারের ছেলে। কনে একই এলাকার ব্যবসায়ী কালাম শেখের মেয়ে ফারিয়া খাতুন।
শুক্রবার দুপুরে দিঘলীয়া গ্রামের এগারো বাড়ির মাঠ থেকে বর সেজে বাবা-মাকে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়েন মুরসালিন, পরে পাশের মান্দ্রা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে নামেন। এ সময় হেলিকপ্টার দেখতে স্থানীয়রা ভিড় জমায়। বরযাত্রী ও আত্মীয়-স্বজনের চেয়ে হেলিকপ্টার দেখতে উৎসুক জনতারই ভিড় বেশি ছিল।
বরের বড় ভাই আবুল হোসেন হাওলাদার বলেন, তারা পাঁচ ভাই মালয়েশিয়া প্রবাসী, ভাইদের মধ্যে মুরসালিন সবার ছোট। বাবা-মায়ের ইচ্ছা ছিল ছেলের বউকে বাড়িতে আনবেন হেলিকপ্টারে করে। “বাবা-মায়ের সেই ইচ্ছা পূরণ করতে, আমরা পাঁচ ভাই মিলে এ হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করেছি।”
বর মুরসালিন জানান, “বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণের জন্য আমরা পাঁচ ভাই মিলে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে ৩ ঘণ্টার জন্য হেলিকপ্টারটি ভাড়া করেছি। এই হেলিকপ্টারে চড়ে আমার বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে কনের বাড়িতে যাই। আমার বাবা, মা, আত্মীয়-স্বজন সবাই খুশি।”
হেলিকপ্টার দেখতে আসা স্থানীয়রা জানায়, “আমি কখনও হেলিকপ্টার দেখিনি, এখানে আসবে শুনে দেখতে আসলাম। নামার পর দেখি, বর তার মা বাবাকে নিয়ে এসেছে। হেলিকপ্টার দেখতে পেয়ে আনন্দ হচ্ছে।”
বিয়েতে কনে ফারিয়া খাতুনের বাবা কালাম শেখ আত্মীয়-স্বজনসহ প্রায় হাজার খানেক অতিথিকে দাওয়াত করে খাওয়ান। খাবারে পোলাও-মাংস, মাছ, ফিন্নি, দই ও মিষ্টিসহ নানা আয়োজন করেছি। তিনি আরও জানান, “একই এলাকায় আমি আমার মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। আমার জামাই তার বাবা-মায়ের সঙ্গে হেলিকপ্টারে চড়ে আমাদের বাড়ি এসেছে। এই হেলিকপ্টার ওঠা-নামা দেখার জন্য এলাকার শত শত মানুষ ভিড় করেছিল। আমি আমার মেয়ে-জামাইয়ের জন্য সকলের কাছে দোয়া চাই।”
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post