১৪ শতাব্দীতে “কালো মৃত্যু” নামে পরিচিত এবং কোটি কোটি মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়া ভয়ঙ্কর ‘বুবোনিক প্লেগ’ আবারও দেখা দিয়েছে। ওরেগন প্রদেশে এক ব্যক্তির শরীরে এই রোগটি শনাক্ত করা হয়েছে বলে মার্কিন প্রশাসন নিশ্চিত করেছে।অসুস্থ একটি পোষা বিড়াল থেকে রোগটি সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মধ্যযুগে ইউরোপের জনসংখ্যার অন্তত এক-তৃতীয়াংশ মানুষের মৃত্যুর কারণ ছিল ‘ব্ল্যাক ডেথ’ নামের মহামারি, যার নেপথ্যে ছিল এই ‘বুবোনিক প্লেগ’।
এদিকে, ১৪ শতাব্দীর ভয়ংকর এই রোগ ২০২৪ সালে কীভাবে আবার ফিরে এলো তা নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রোগটি উন্নত দেশগুলোতে শনাক্ত হওয়া ‘অস্বাভাবিক’। এর চিকিৎসা বের হলেও, এটি এখনও বিপজ্জনক রয়ে গেছে। ওরেগনে বুবোনিক প্লেগে আক্রান্ত ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ। তবে ওই রোগীর চিকিৎসা চলছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।
ডেসচুটস কাউন্টি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ড. রিচার্ড ফসেট বলেন, ‘পোষা প্রাণীদের সংস্পর্শে আসা সব বাসিন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং অসুস্থতা প্রতিরোধের জন্য ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে।’
বুবোনিক প্লেগের উপসর্গ
মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বুবোনিক প্লেগ সংক্রমণের আট দিন পর দেহে উপসর্গ দেখা দেয়। সাধারণত প্লেগে আক্রান্ত পশু বা মাছি থেকেই সংক্রমণ ছড়ায়। বুবোনিক প্লেগের অন্যতম উপসর্গ হলো জ্বর, শারীরিক দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, শরীরে শিহরণ ও পেশিতে ব্যথা হওয়া।
প্রতিক্রিয়া
সঠিক সময়ে ধরা না পড়লে বুবোনিক প্লেগ ‘সেপ্টিসেমিক প্লেগে’ পরিণত হতে পারে, যা শরীরের ধমনীকে সংক্রমিত করে। এছাড়া ‘নিউমোনিক প্লেগ’ও হয়, যেখানে ফুসফুস সংক্রমিত হয়। উভয় সংক্রমণই অত্যন্ত গুরুতর।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post