নীতিগত পরিবর্তন না হলে ঋণ পরিশোধে সংকট: আইএমএফ সতর্ক করেছে, মালদ্বীপ যদি তার বর্তমান নীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন না আনে, তাহলে খুব শীঘ্রই তারা বৈদেশিক ঋণের কিস্তি পরিশোধে ব্যাপক সংকটের সম্মুখীন হবে।বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ সতর্কবার্তা দিয়েছে বৈশ্বিক এই ঋণদাতা সংস্থা।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মালদ্বীপ যদি তার নীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ও অর্থবহ কোনো পরিববর্তন না আনে, তাহলে দেশটির অর্থনৈতিক ঘাটতি এবং বিদেশি ঋণের পরিমাণ বাড়তে থাকবে এবং ঋণ পরিশোধ করতে না পারার উচ্চ ঝুঁকিতে পড়বে দেশটি।’
বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুসারে, মালদ্বীপের জাতীয় ঋণের প্রায় ৪৩ শতাংশ আসে চীন থেকে। মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু সরকারের সঙ্গে ভারতের সাম্প্রতিক দ্বন্দ্ব এবং চীনের সঙ্গে সখ্যতা বৃদ্ধির মধ্যেই এই সতর্কবার্তা এলো আইএমএফ থেকে। এদিকে দেশের ঋণ পরিস্থিতির কারণে আসন্ন পার্লামেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে কোনো অবাস্তব উন্নয়ন প্রকল্প নেবে না মালদ্বীপ। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু এ ঘোষণা দিয়েছেন।
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট বলেন, পরবর্তী দুটি মাস হবে সবচেয়ে কঠিন। এটি সবচেয়ে স্পর্শকাতর সময়। জুলাইয়ের পর পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসবে। তবে আয় বাড়ানোর জন্য এখনই আমরা কাজ শুরু করছি।’ সরকারি ঋণের উচ্চ হার ছাড়াও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণও অনেক বেশি। এ ধরনের সব সমস্যা চিহ্নিত করার আগে জনগণের সত্যিকার উন্নয়ন করা যাবে না।
মুইজ্জু আরও বলেন, আমি সত্যিকারের টেকসই উন্নয়নের জন্য আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছি। সামনে একটা নির্বাচন আছে বলে বাস্তবতা বিবেচনা না করে অতীতের ধারা মেনে শুধু প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলে ফল পাওয়া যাবে না।’ মালদ্বীপের বেইজিংপন্থি রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত মোহাম্মদ মুইজ্জু গত ৩০ সেপ্টেম্বর দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন।
মালদ্বীপের অর্থনীতি প্রায় পুরোটাই পর্যটননির্ভর। বিশেষ করে ভারতীয় পর্যটকদের কাছে মালদ্বীপ বেশ জনপ্রিয় গন্তব্য এবং এই পর্যটন খাতের কল্যাণেই করোনা মহামারির ভয়াবহ অর্থনৈতিক আঘাত সামাল দিতে পেরেছে দেশটি।
আইএমএফের মূল বক্তব্য, মালদ্বীপ যদি শিগগিরই পর্যটন খাতকে শক্তিশালী না করে, সেক্ষেত্রে বিদেশি ঋণের কিস্তি পরিশোধে সমস্যায় পড়বে দেশটি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post