বাবরি মসজিদের স্থানে রামমন্দির নির্মাণের ফলে ভূমিটির ধর্মীয় পরিচয় পরিবর্তিত হবে না বলে মন্তব্য করেছেন অরাজনৈতিক মুসলিম সংগঠন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি সাইয়েদ আরশাদ মাদানী।
গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন তিনি। ওই সাক্ষাৎকারের ভিডিওটি তার ফেরিফাইড ফেসবুক পেইজে প্রচারিত হয়েছে।
আল্লামা আরশাদ মাদানী বলেন, জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ ৭০ বছর ধরে বাবরী মসজিদের ইস্যুতে মামলা পরিচালনা করেছে। প্রথম যখন এই বিষয়ে মামলা হয়, বিতর্ক ছিল, এখানে মন্দির ছিল না মসজিদ? তখন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ফায়সালা দিয়েছিল, এই স্থানে কোনো মন্দির ছিল না। খালি জায়গায়ই মসজিদ নির্মিত হয়েছে। বিতর্ক সেখানেই শেষ। তাই এই মামলায় জমিয়তে উলামায়ে হিন্দেরই বিজয় হয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, আমাদের অবস্থান পরিষ্কার ছিল। যদি এখানে বাস্তবে মন্দির থাকতো, তাহলে আমরা এটিকে মসজিদ ভাবতাম না। এখন সুপ্রিম কোর্ট যখন ফায়সালা করেছে, এটি মন্দিরের জায়গা নয়। তাই এটি মসজিদেরই ভূমি। সে হিসেবে আমার ধর্ম বলে, এখন মসজিদের ভূমিতে যদি ১০০টিও মন্দির নির্মাণ করা হয়, তবুও কিয়ামত পর্যন্ত এটি মসজিদের ভূমিই থাকবে।
আমিরুল হিন্দ বলেন, এটি আমাদের জন্য খুশির বিষয় ছিল যে সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য তিনজনের একটি বেঞ্চ গঠন করেছে। তাই তখন থেকে আমাদের দাবি ছিল, যেহেতু এটি মসজিদের ভূমি, তাই মসজিদের অনুসারীদের কাছে এই স্থান সোপর্দ করা হোক।
তিনি আরো বলেন, এখন যে বলা হচ্ছে, এখানে রামের জন্মভূমি ছিল, এখানে মসজিদ ছিল না, এই দাবিটি সুপ্রিম কোর্টের ফায়সালা অনুযায়ী ভুল। এর কোনো ভিত্তি নেই। সুপ্রিম কোর্ট তো স্বীকারই করছে না যে এখানে রামমন্দির ছিল। তাই তাদের দাবির কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই।
আল্লামা আরশাদ মাদানী আরো বলেন, আমাদের কাছে ওই ফায়সালার ফাইল আছে। এখন যদি কেউ আমাদের দাবি ভুল প্রমাণ করতে চায়, করুক। কেউ তো আমাদের দাবিকে ভুল প্রমাণিত করতে পারছে না।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post