বাংলাদেশ ব্যাংকের বরখাস্তকৃত এক সহকারী পরিচালককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৩।
প্রথম স্ত্রীর ও সন্তানের ভরণপোষণ না দেয়ার মামলায় আদালতে সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় মোস্তাফিজুর রহমান ফিজুকে সোমবার রাতে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পর তাকে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়,
“২০১০ সালে মাদক সংক্রান্ত মামলায় জড়িত হয়ে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি থেকে বরখাস্ত হন।”
কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) মো. আব্দুল গাফফার এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঢাকার অতিরিক্ত পারিবারিক আদালতের বিচারক ফারিয়া নওশীন বন্বি জানান, প্রথম স্ত্রী ও সন্তানের ভরণপোষণ না দেয়ায় মোস্তাফিজুরের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে আদালতে মামলা করেন তার স্ত্রী মাকসুদা আক্তার। বিচারক ফারিয়া নওশীন ওই মামলার রায়ে স্ত্রীর দেনমোহর ও খোরপোশ বাবদ এককালীন চার লাখ আট হাজার টাকা এবং নাবালক সন্তানের ভরণপোষণের জন্য প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা প্রদানের আদেশ দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে ২০১৭ সালে তা খারিজ করে দেয় আদালত।
মামলার বাদি মাকসুদা আক্তার বলেন, ‘আদালতে রায় থাকা সত্ত্বেও এ পর্যন্ত ভরণপোষণের কোনো টাকাই আমাকে দেয়নি মোস্তাফিজ। এমনকি তিনি আদালতেও হাজির হতেন না। এ অবস্থায় আবারও আদালতের শরণাপন্ন হলে ২০২২ সালের জুলাইয়ে আদালত মোস্তাফিজকে এক মাসের কারাদণ্ড দেয়। এর পর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মোস্তাফিজুর রহমান ফিজুর বাড়ি কুষ্টিয়া জেলায়। ২০১০ সালে মাদক সংক্রান্ত মামলায় জড়িত হয়ে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি থেকে বরখাস্ত হন। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পরে তিনি ফরিদপুর শহরের দক্ষিণ ঝিলটুলীতে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তার প্রথম স্ত্রীও একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post