সড়কে নজরদারি বাড়াতে মাস্কাটসহ ওমানের বিভিন্ন অঞ্চলে বসানো হয়েছে বিশেষ ডিভাইস। আগে থেকেই মাস্কাট হিল পয়েন্ট ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ যায়গাগুলিতে এই ডিভাইস দিয়ে সড়কের শৃঙ্খলা তদারকি করা হচ্ছিলো। নতুন করে আল খুদসহ আরও বেশকিছু যায়গায় বিশেষ ধরণের এই রাডার ডিভাইসের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এসব ডিভাইস গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন চালানো, সিট বেল্ট ব্যবহার না করা, ট্র্যাফিক সিগন্যাল না মানা এবং গাড়ির লেন পরিবর্তন করার ঘটনা খুব সহজেই শনাক্ত করতে পারবে।
এছাড়া ওমান থেকে কেউ গাড়ি নিয়ে পার্শ্ববর্তী দুবাইয়ে গিয়ে আইন ভাঙলেও তার নামে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রয়্যাল ওমান পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা পড়বে। এসব আইন লঙ্ঘন শনাক্তেও নতুন রাডার বসানো হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতিটি অভিযোগের ঘটনায় ৬৩ রিয়াল পর্যন্ত জরিমানা করা হবে।
২০১৮ সাল থেকে সড়কপথের শৃঙ্খলা রক্ষায় ওমানের আইন বেশ কঠোর। ব্ল্যাক পয়েন্টের মাধ্যমে চালক ও মালিকদের উপরে জরিমানা ছাড়াও ধারাবাহিক কঠোর তদারকি করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী কারোর নামের পাশে ১২টির বেশি ব্ল্যাক পয়েন্ট জমা পড়লে তার ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল হয়ে যায়। তবুও প্রায় নিয়মিতই ওমানের সড়কে প্রাণহানির ঘটনা সংবাদের শিরোনাম হচ্ছে। কেবল গত ২ মাসেই বিভিন্ন সড়ক দুর্ঘটনায় কয়েক ডজন বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন। তাই এসব দুর্ঘটনা রোধে নতুন করে সড়কে নজরদারি বাড়াচ্ছে মাস্কাট।
প্রচলিত আইনে জরিমানার একাধিক বিধান আছে। এরমধ্যে চালক তার পরিচয় লুকিয়ে মুখ ঢেকে গাড়ি চালালে ৫০ রিয়াল, স্টিয়ারিং না ধরে গাড়ি চালালে ৩৫ রিয়াল, গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে ১৫ রিয়াল, ওভারটেকিংয়ের জন্য ৫০ রিয়াল এবং নিরাপত্তা বেল্ট ব্যবহার না করলে ১০ রিয়াল জরিমানা করা হবে। এসব জেল জরিমানা এড়াতে এখন থেকে প্রবাসীদের রাস্তায় চলাচলে আরও বেশি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন কমিউনিটি সংশ্লিষ্টরা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post