ওমানের সেফটি এন্ড সিকিউরিটি কর্পোরেশন এবং দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয়ের যৌথ আভিযানিক দল সোমবার (১ জানুয়ারি) থেকে মাঠে নেমেছে। আর শ্রম বাজারে শৃঙ্খলা ফেরাতে এবং যথাযথ আইন তদারকির লক্ষ্যে বড় পরিসরে অভিযান চালানোর তথ্য নিশ্চিত করেছে শ্রম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ। মাস্কাট, ধোফার, দক্ষিণ এবং উত্তর আল বাতিনার প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকাগুলোয় এসব অভিযানের ব্যাপকতা তুলনামূলক বেশি।
নতুন বছরের প্রথমদিনের অভিযানে কয়েকশ’ প্রবাসী গ্রেপ্তার হওয়ার পর দ্বিতীয়দিনেও বহুসংখ্যক প্রবাসী গ্রেপ্তার হয়েছেন। নবগঠিত নিরাপত্তা ইউনিটের মাধ্যমে এসব প্রবাসীদের বিশেষ ডিটেনশন সেন্টারে নিয়ে রাখা হচ্ছে। এসব কেন্দ্রগুলোর পরিচালনার দায়িত্বও থাকছে নতুন ইউনিটের হাতে।
বিচারের মুখোমুখি কিংবা দেশ ত্যাগের আগে গ্রেপ্তার হওয়া প্রবাসীদের এসব কেন্দ্রেই আটকে রাখা হবে। ধোফার শ্রম বিভাগের মহাপরিচালক নাসের বিন সালেম আল হাদরামি গণমাধ্যমকে জানান, ওমানের শ্রম বাজার থেকে অবৈধ জনশক্তি কমাতে চায় সরকার। কারণ, দেশের অর্থনীতি আরও উন্মুক্ত এবং বিনিয়োগবান্ধব করতে ইতোমধ্যেই নানা পদক্ষেপ হাতে নেয়া হয়েছে।
সেই ধারবাহিকতায় শ্রম বাজারকে গুছিয়ে আনতে দেশের আইন এবং সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের চেষ্টা হিসেবে নতুন ইউনিট মাঠে নামানো হয়েছে। তারা প্রবাসীদের গ্রেপ্তার করে ডিটেনশন সেন্টার বা পুলিশ স্টেশনে আনা, পাবলিক প্রসিকিউশনে নিয়ে যাওয়া এবং ভিসা বাতিলের ক্ষেত্রে বিমানবন্দরে ছেড়ে আসার কাজ করবে।
এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর শ্রম মন্ত্রণালয়ের সদর দফতরে শ্রম মন্ত্রী ডক্টর মাহাদ বিন সাইদ এবং সিকিউরিটি অ্যান্ড সেফটি কর্পোরেশনের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবদুল্লাহ বিন আলি আল হারথি এই ইউনিট গঠনের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post