গাজীপুরের কাপাসিয়ায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন জর্ডান প্রবাসী তরুণী। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার টোক ইউনিয়নের ডুমদিয়া গ্রামের দক্ষিণপাড়া ডাক্তারের বাড়িতে। ঘটনার পর থেকেই প্রেমিক আসাদ বাড়ি থেকে উধাও রয়েছেন।
প্রেমিকা ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ৯ বছর পূর্বে প্রতিবেশী কিতাব আলীর পুত্র মোশাররফের সঙ্গে ওই তরুণীর বিয়ে হয়। মেহেদির রং মুছে যাওয়ার আগেই তার স্বামী মোশাররফের মৃত্যু হয়। স্বামীর মৃত্যুর বছরখানেক পর তিনি গার্মেন্টস ভিসায় জর্ডানে পাড়ি দেন।
২০২২ সালের ২৯ এপ্রিল দুই মাসের ছুটিতে দেশে আসেন তিনি। হঠাৎ তার দাদি অসুস্থ হলে ওষুধ ক্রয়ের জন্য গেলে ডুমদিয়া বাজারের দোকানি আসাদের সঙ্গে পরিচয় হয়। তার মোবাইল নম্বর দিয়ে এবং আসাদের মোবাইল নম্বর নিয়ে যেতে বলেন। এর মধ্যে বারবার দাদির অসুস্থতার খবর নিতে গিয়ে উভয়ে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। পরে বিয়ের আশ্বাসে বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে এবং কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেন আসাদ।
আরও দু-এক বছর পর বিদেশ থেকে ফিরে আসলে বিয়ে করবে- এমন আশ্বাসে ছুটি শেষ করে ওই তরুণী ফের জর্ডানে চলে যান। সেই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৩ ডিসেম্বর দেশে এসে আসাদকে বিয়ে করার কথা বললে তিনি টালবাহানা শুরু করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিয়ের দাবিতে শনিবার সকাল থেকে প্রেমিক আসাদের বাড়িতে অনশন শুরু করেন প্রেমিকা ওই তরুণী।
এ বিষয়ে তরুণীর ভাই বলেন, আমার ছোট বোনকে বিয়ের আশ্বাসে আসাদকে নগদ প্রায় ৭ লাখ টাকা দিয়েছি। এখন টাকা ফেরতও দেন না এবং বোনকেও বিয়ে করবেন না বলে জানান তিনি। এ কথা শুনে শনিবার সকাল থেকেই ছেলের বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন বোন।
ওই তরুণী গণমাধ্যমকে জানান, বিয়ের আশ্বাসে গত দুই বছরে জর্ডান থেকে আসাদ ও তার পরিবারকে প্রায় ৭ লাখ টাকা দিয়েছি। বিয়ের আশ্বাসে আমার বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। এখন সে বলে আমাকে বিয়ে করলে তার পরিবারের মান-সম্মানের হানি হবে।
এ বিষয়ে আসাদ জানান, নিউজের প্রয়োজন নেই।
এ ব্যাপারে টোক নয়নবাজার তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সুজন তালুকদার গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাটি সত্য। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post