মহামারি করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মারা গেছে আট লাখেরও বেশি মানুষ। বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের ও মৃত্যু হচ্ছে। তবে জুন ও জুলাই মৃত্যুহার বেশি হলেও আগস্ট মাসে এসে তা কমেছে। শনিবার (২২ আগস্ট) পর্যন্ত সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্য সহযোগিতা সংস্থার (জিসিসি) ছয় দেশে করোনাভাইরাসে মারা গেছেন এক হাজার ১৭০ জন বাংলাদেশি। অন্যদিকে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অন্য ১৪ দেশে ৬৫৯ জন বাংলাদেশি মারা গেছেন। এরমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে প্রাণ হারিয়েছেন ৫৫ জন বাংলাদেশী প্রবাসী।
দূতাবাস কর্মকর্তা, প্রবাসী ও হাসপাতাল সূত্রে পাওয়া বিভিন্ন দেশ থেকে এখন পর্যন্ত পাওয়া মৃত্যুর পরিসংখ্যান:-
১.সৌদি আরব-৭৮৮ জন
২.আরব আমিরাত-১৭৫ জন
৩.কুয়েত-১০০ জন
৪.ওমান-৫৫ জন
৫.কাতার-৩২ জন
৬.বাহরাইন-২০ জন
৭.যুক্তরাজ্যে-৩২৫ জন
৮.যুক্তরাষ্ট্রে-২৮২ জন
৯.ইতালিতে-১৪ জন
১০.কানাডায়-৯ জন
১১.সুইডেনে-৮ জন
১২.ফ্রান্সে-৭ জন
১৩.স্পেনে-৫ জন
১৪.পর্তুগাল-২ জন
১৫.দক্ষিণ আফ্রিকা-২ জন
আরো পড়ুনঃ ওমানে বিভিন্ন অপরাধে শুক্রবার বহু প্রবাসী গ্রেফতার
এছাড়া ভারত, মালদ্বীপ, কেনিয়া, লিবিয়া, ও গাম্বিয়ায় ১ জন করে বাংলাদেশি মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের সংক্রমণে ২০ টি দেশে মারা গেছেন এক হাজার ৮২৯ জন। করোনায় বাংলাদেশিদের মৃত্যু নিয়ে প্রবাসী, অভিবাসী ও কূটনীতিকেরা জানান, গাদাগাদি করে ডরমিটরিতে কর্মীরা থাকতে বাধ্য হন। আবার যে সব জায়গায় কর্মীরা কাজ করেন সেখানে লোক সমাগম বেশি। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি অগ্রাহ্য করা মৃত্যুর কারণ। তা ছাড়া করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া লোকজনের একটি বড় অংশের নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা ছিল।
মধ্যপ্রাচ্যে বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তা এবং প্রবাসীরা জানা, করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া লোকজনের অধিকাংশই ভর্তি হয়েছিলেন হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিক, কিডনি রোগসহ নানান শারীরিক জটিলতায়। ভর্তির পরে অনেকের করোনা শনাক্ত হয়। আবার কারও কারও শনাক্ত হয় আগেই।
আরো পড়ুনঃ স্ত্রী তালাক দেওয়ায় ওমানে আত্মহত্যা করলেন প্রবাসী
এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা কমলেও বাংলাদেশে জনশক্তির মূল বাজার সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে জীবিকার বিষয়টি মূল সংকট হয়ে দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মানব সম্পদ বিষয়ক বিশ্লেষকরা। কর্মহীন হয়ে পড়ছেন বহু প্রবাসী। বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশে চাইলেও অনেকেই আসতে পারছেন না ফ্লাইটের কারণে। ওমান থেকে দূতাবাসের মাধ্যমে কিছু বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করলেও তা চাহিদার তুলনায় খুবই অপ্রতুল। ওমান থেকে কয়েক হাজার প্রবাসী দীর্ঘদিন যাবত কর্মহীন হয়ে পড়ায় এবং অসুস্থ থাকায় দেশে ফেরত আসতে চাইলেও ফ্লাইটের অভাবে আসতে পারছেনা। প্রবাসীদের দাবী, দূতাবাস যেন বিশেষ ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়িয়ে তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post