শীতের শুরুতে দিল্লির সংলগ্ন পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ এবং রাজস্থানের গ্রামগুলোতে ধান বা গমের ক্ষেতগুলো থেকে ফসল তোলার পর পরবর্তী ফসল চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় কৃষকরা ধান-গমের গাছের গোড়া পুড়িয়ে দেন। এতে প্রচুর পরিমাণে ধোঁয়া এবং ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বাতাসে মিশে যায়।
গতকালও দিল্লি ও তার সংলগ্ন এলাকাগুলোতে দূষণ মাত্রা ‘মারাত্মক’ (সিভিয়ার) পর্যায়ে পৌঁছেছিল। এই পরিস্থিতিতে অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার দিল্লিতে কৃত্রিমভাবে বৃষ্টি নামানোর চিন্তা শুরু করেছে। বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞানীদের সঙ্গে আলোচনাও হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জানিয়েছেন, বাতাসে জলীয় বাষ্প বা মেঘ থাকলে তবেই এই কৃত্রিম বৃষ্টি করানো সম্ভব।
সেখানকার আবহাওয়াবিদরা বলছেন— ২০-২১ নভেম্বর দিল্লিতে তেমন পরিস্থিতি তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই চলতি মাসের শেষেই তা করা সম্ভব হতে পারে। বিজ্ঞানীদের সঙ্গে আলোচনা করে এ নিয়ে শীর্ষ আদালতে দিল্লি সরকার শিগগিরই একটি রিপোর্টও জমা দেবে।
দিল্লির বাতাসের মান অত্যন্ত খারাপ থাকায় গত কয়েক দিন ধরে একেবারে নিচু থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত সব ক্লাস অনলাইনে করার নির্দেশ দিয়েছিল কেজরিওয়াল সরকার। ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত স্কুলগুলোতে আগাম শীতের ছুটি দেওয়া হচ্ছে। সাধারণত ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে শিশুরা যে ছুটি পেয়ে থাকে এটি সেই ছুটিরই অংশ। পরে শীতের ছুটির সময়ে দিন কমিয়ে দেওয়া হবে। শিশুদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে।
এরই মধ্যে নাসার একটি উপগ্রহ চিত্রে ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখা গেছে। উপগ্রহে ধরা পড়া সেই ছবিতে দেখা গেছে, উত্তরে পাঞ্জাব থেকে পূর্বে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত ধোঁয়াশার চাদর বিস্তৃত রয়েছে। দিল্লির এই ভয়াবহ দূষণের দায় গিয়ে পড়েছে মূলত পাঞ্জাব ও হরিয়ানা সরকারের ওপরে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post