টানা আট দিনের বিমান হামলায় অবরুদ্ধ গাজা যেন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। ঘরবাড়ি-শহর ছেড়েও জীবন বাঁচাত পারছেন না ফিলিস্তিনিরা। পরিস্থিতি এমন ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে যে হাসপাতালের মর্গেও লাশের জায়গা হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে অনেকের লাশ আইসক্রিম ভ্যান বা অন্যান্য খাবারের ফ্রিজে রাখছেন ফিলিস্তিনিরা।
গতকাল শনিবার (১৪ অক্টোবর) এক ভিডিওবার্তায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে এমন তথ্য জানিয়েছেন দেইর আল বালাহের আল-আকসা শহিদ হাসপাতালের ফরেনসিক প্যাথলজিস্ট ইয়াসির খাতাব।
ইয়াসির খাতাব বলেছেন, হাসপাতালে এত পরিমাণ লাশ আসছে যে এগুলো রাখার জায়গা হচ্ছে না। অনেক লাশ দিনের পর দিন হাসপাতালে পড়ে থাকে। এরপর এসে অন্যরা সেগুলো নিয়ে যায়।
গত শনিবার (৭ অক্টোবর) অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস। হামাসের হামলায় ইসরায়েলে এক হাজার ৩০০ জন নিহত হয়েছে। এ হামলার পরপর হামাসকে নির্মূলের অঙ্গীকার করে গাজায় পাল্টা বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। পাশাপাশি গাজায় পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে রেখেছে ইসরায়েলি সেনারা। এমনকি অবরোধের অংশ হিসেবে সেখানে খাবার, পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল সরকার। এর ফলে চরম সংকটে পড়েছে গাজার হাসপাতালগুলো।
টানা আট দিনের ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৩২৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও প্রায় ১০ হাজার মানুষ।
ফরেনসিক প্যাথলজিস্ট ইয়াসির খাতাব আরও বলেন, গাজায় ত্রাণ সহায়তার প্রয়োজন। মর্গের রেফ্রিজারেটর, চিকিৎসা সরঞ্জামের পাশাপাশি কফিন ও মরদেহ দাফনের জন্য সরঞ্জামের প্রয়োজন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post