চলতি বছরের গত ছয় মাসে সাড়াশি অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে প্রায় ১৮ হাজার প্রবাসীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে কুয়েত। অনেকের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইন অনুযায়ী জেল-জরিমানা করা হয়েছে। এদের মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, ফিলিপাইন ও মিশরের নাগরিক রয়েছে। কুয়েতের স্থানীয় গণমাধ্যম আল রাই ও আরব টাইমসের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
কুয়েত সরকারের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে বিভিন্ন দেশের প্রায় ২ লাখ অবৈধ অভিবাসী বসবাস করছে। অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেপ্তারে প্রতিদিন চলে স্থানীয় প্রশাসনের সাড়াশি অভিযান।
ট্রাফিক সচেতনতা বিভাগের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নওয়াফ আল-হায়ান আল-রাইকে বলেন, গত মার্চ থেকে আগস্টের মধ্যে প্রায় ৬ মাসের মধ্যে ১৮ হাজার ৪৮৬ প্রবাসীকে নির্বাসিত করা হয়েছে। তিনি ইঙ্গিত দেন, নির্বাসনের শাস্তি পাওয়াদের মধ্যে শত শত অপরাধী অন্তর্ভুক্ত ছিল। অভিযানে আটকদের গুরুতর অপরাধগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- আকামা আইন লঙ্ঘন, মাদক বেচাকেনা, পতিতাবৃত্তি। এছাড়াও ট্র্যাফিক আইন লঙ্ঘন; যেমন উচ্চগতি, সিগনালে লাল আলো অতিক্রম করা, ব্যক্তিগত গাড়িতে যাত্রী সেবা প্রদান ও ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানো।
দেশটির স্থানীয় আইনে এক মালিকের ভিসায় আসার পরে অন্য মালিকের কাজ করা আকামা আইনের লঙ্ঘন। বাংলাদেশিরা ৬ লাখ টাকা থেকে ৭ লাখ টাকায় ভিসা কিনে কোম্পানির কম বেতনের চাকুরি করে তাই ডিউটি শেষে বাড়তি আয়ের আশায় ‘পার্ট টাইম’ কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় প্রশাসনের অভিযানে গ্রেপ্তার হয়। পরবর্তীতে তারা নিঃস্ব হয়ে দেশে ফিরে যায়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post