বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড সংখ্যক ৫০৩ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৬৮৯ জনে। এছাড়া করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৩১ জনে। শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে করোনা ভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩ হাজার ৬৮৬ জনের। এরমধ্যে দেশে একদিনে সর্বাধিক ৫০৩ জনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। গত ২৪ ঘণ্টায় যা নমুনা পরীক্ষা করেছি তা গতকালের চেয়ে ৭.৯ শতাংশ বেশি। আজকে যারা মারা গেছেন তারা ৪ জনই পুরুষ। যাদের বয়স ৫১ থেকে ৬০ এর মধ্যে। তারা সবাই ঢাকার বাসিন্দা। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ৪ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১১২ জন। ২৪ ঘণ্টায় ১২৩ জনকে আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে।
এদিকে মহামারি করোনাভাইরাসের ছোবলে সারা বিশ্বে মৃতের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ লাখ ৯১ হাজার ৫৫ জন। শনাক্ত হয়েছেন ২৭ লাখ ২৫ হাজার ৩৯১ জন। শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত এ সংখ্যা নিশ্চিত করেছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার। এরইমধ্যে ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাস।
এছাড়া ভাইরাসে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৭ লাখ ৪৫ হাজার ৮২০ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ১৭ লাখ ৮৮ হাজার ৫১৬ জন। এদের মধ্যে ১৭ লাখ ২৯ হাজার ৮৩৮ জনের শরীরে মৃদু সংক্রমণ থাকলেও ৫৮ হাজার ৬৭৮ জনের অবস্থা গুরুতর।
গেল ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়। তখন বাড়ানো হয় সতর্কতা। এরপর শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা মার্চ জুড়ে প্রতিদিন প্রায় একরকমই ছিল। তবুও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সরকার সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে। ২৬ মার্চ থেকে শুরু হওয়া সেই ছুটি চলছে এখনও। বুধবার (২২ এপ্রিল) সর্বশেষ জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে ছুটি বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫ মে পর্যন্ত।
ঢাকা সিটিতে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি হলেও করোনার হটস্পট হিসেবে ধরা হয় নারায়ণগঞ্জকে। সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন বেশ কয়েকজন রোগী। এছাড়া সেখান থেকে অন্যান্য জেলায় যাওয়ার পরও কয়েকজনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এই ভাইরাসকে রুখতে সামাজিক দূরত্ব ও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ছাড়া অন্য কোনো উপায় এখনও নেই। বিশ্বের অনেক দেশই চেষ্টা চালাচ্ছে এর ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের। শতাধিক গবেষণার কয়েকটি মানবদেহে প্রয়োগের কাজও শুরু হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post