নিজের ধর্ম ও নাম পরিবর্তন করে রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রেমিক আব্দুল্লাহ হেল আমানের সাথে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ফিলিপাইনের তরুণী। বিবাহের সময় ওই তরুণীর নতুন নাম মরিয়ম আমান রাখা হয়। বিয়ের অনুষ্ঠানে তাকে দেখতে শত শত মানুষ ভিড় জমায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফিলিপাইন তরুণীর প্রেমিক আব্দুল্লাহ হেল আমান উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের মিনিগাড়ী গ্রামের সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রয়াত শারফুল ইসলাম তালুকদারের বড় ছেলে। গত দুই বছর থেকে ফিলিপাইন নাগরিক আনা মারিয়া ভেলাস্কো’র সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারই ধারাবাহিকতায় বিবাহের উদ্দেশ্যে বিমান যোগে শনিবার শাহাজালাল আন্তজার্তিক বিমান বন্দরে পৌঁছায় ফিলিপাইন ওই তরুণী। সেখান প্রেমিক আব্দুল্লাহ হেল আমান গাড়িযোগে তাকে নিয়ে ক্ষেতলাল পৌরসভার সদরে ভাড়া বাসায় পৌঁছায়।
এবিষয়ে প্রেমিক আব্দুল্লাহ হেল আমান বলেন, আমাদের দু’জনার মধ্যে দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। সে খ্রিস্টান ছিলো বর্তমানে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেছে। আমাকে বিবাহের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে চলে আসে। আমরা শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ করেছি। আনা মারিয়া ভেলাস্কো বলেন, বাংলাদেশে এসে খুবই ভালো লাগছে। এখানকার মানুষের সঙ্গে খুব সহজেই মিশতে পারছি। বাংলাদেশের খাবার ও এখানকার সংস্কৃতি আমার খুব পছন্দ হয়েছে। বিবাহ করেছি তার পরিবারও আমাকে মেনে নিয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো আছি।
আমানের স্বজনরা জানান, উভয় পক্ষের সম্মতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়। ফিলিপাইনের ওই তরুণী আসার পর থেকে সবার সঙ্গে মিলেমিশে চলছে। এখানকার খাবার দাবার তার খুব পছন্দ। তাকে দেখতে বাড়িতে ছুটে আসছেন মানুষরা। ইংরেজিতে কথা বলে আনা মারিয়া ভেলাস্কো। মাঝে মধ্যে কিছু কথা বাংলাতেও বলতে পারে।
ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফিলিপাইন নাগরিক আনা মারিয়া ভেলাস্কো কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় । সে জানিয়েছে নিজ ইচ্ছায় বাংলাদেশে এসেছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post