ওমান এয়ারের একটি ফ্লাইটে মাঝ আকাশে এক বাংলাদেশি প্রবাসী মারা গেছেন। ৮ মে রাতে মাস্কাট থেকে চট্টগ্রামগামী ওমান এয়ারের ফ্লাইটে এই ঘটনা ঘটে। একই ফ্লাইটের ইমরান নামে এক যাত্রি আমাদের জানান, ফ্লাইটটি ওমান টাইম রাত আড়াইটায় ছাড়ার কথা থাকলেও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে খানেক সময় দেরি করে ছাড়ে।
মাস্কাট এয়ারপোর্ট থেকে বোর্ডিং সম্পন্ন করে সবাই বিমানে উঠলেও একজন যাত্রি ওয়েটিং রুমে ছিলো। তখন সে যাত্রি দেশে যাবেন কিনা জিজ্ঞাসা করলে তিনি ইমরানকে জানান যে একটু অসুস্থ। এমতাবস্থায় তাকে বসিয়ে ইমরান ফ্লাইটে উঠে যায়।
বিমানের সামনে বিজনেস ক্লাসের পিছন থেকে এক যাত্রিকে নামিয়ে নেওয়া হচ্ছে। কতক্ষন পর ফের একটি মরদেহ বিজনেস ক্লাসে উঠানো হয়। তখন আমরা ধারনা করলাম যে হয়ত সে ফ্লাইটের মধ্যেই মারা গেছে।
ইমরান, ওমান এয়ারের যাত্রি
ফ্লাইট যখন মাঝ আকাশে, তখন কেবিন ক্রুরা ঘোষণা দেন যে ফ্লাইটে কোনো চিকিৎসক আছেন কিনা। ইমরান বলেন, যেহেতু আমরা সবাই প্রবাসী, তাই, তাদের ইংরেজি ভাষা গুলো বুঝতেছিলাম না। তবে, ফ্লাইটে বার বার এনাউন্স করা হচ্ছিলো। তখন আমি বুঝতে ধারনা করি যে হয়তো সেই ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পরেছেন। অবশেষে ফ্লাইট পাকিস্তানে জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এমতাবস্থায় আমরা সবাই চরম আতংকে পড়ে যাই।
পাকিস্তানে ফ্লাইটটি অবতরণ করার সাথেসাথেই দেখি এ্যাম্বুলেন্স এবং চিকিৎসক সহ আমাদের বিমান ঘিরে রাখছে। আমরা সবাই বসে আছি বিমানে। এর মধ্যে দেখি বিমানের সামনে বিজনেস ক্লাসের পিছন থেকে এক যাত্রিকে নামিয়ে নেওয়া হচ্ছে। কতক্ষন পর ফের একটি মরদেহ বিজনেস ক্লাসে উঠানো হয়। তখন আমরা ধারনা করলাম যে হয়ত সে ফ্লাইটের মধ্যেই মারা গেছে।
এদিকে, উক্ত যাত্রির নাম পরিচয় জানা না গেলেও তার বাড়ি চট্টগ্রামে এটা প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। নিহত উক্ত প্রবাসী হিন্দু ছিলেন এবং তার বয়স আনুমানিক ২৩ বছরের মত হবে এমনটি বলছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। জানাগেছে, গত কয়েক মাস আগে তার বাবাও মারা যায়। এরপর থেকেই সে অসুস্থ ছিলো। তবে, এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত ওমান এয়ার থেকে কোনো অফিশিয়াল বিবৃতি গণমাধ্যমকে দেওয়া হয়নি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post