এক দিনের ব্যবধানে ফের ভয়াবহ আরেক টর্নেডো দেখলো ওমান। ২৩ এপ্রিল ফের জালান বু আলী নামক স্থানে এই টর্নেডো আঘাত হানে। তবে, ঈদের দিন আঘাত হানা টর্নেডোতে মুহূর্তেই ঘর বাড়ি উড়িয়ে নিয়ে গেলেও পরদিনের টর্নেডোতে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
প্রথম দিনের আঘাতে জালান অঞ্চলে এক ভয়াবহ চিত্র দেখা যায়। মুহূর্তেই রাস্তার বিদ্যুতের খুটি গুলো পরে যায়। উট এবং গবাধি পশুগুলো মারা যায়। উড়ে যায় বাড়িঘর। এ যেন এক কিয়ামতের চিত্র দেখলো জালান অঞ্চলের মানুষ।
ঘটনাস্থল থেকে আবুল হাশেম নামে এক প্রবাসী আমাদের জানান, হঠাত দেখি চারদিক অন্ধকার। গাড়ি গুলো যার যার অবস্থানে বসে আছে। কেউ সামনে আগাচ্ছেনা। আড়াই ঘন্টার রাস্তা ৭ থেকে ৮ ঘন্টা লেগেছে। হাজার হাজার গাড়ি আটকে পরে এই টর্নেডোর কারণে।
এদিকে, ওমানের সিভিল এভিয়েশন অথোরিটি জানিয়েছে, উত্তর ও দক্ষিণ আশ শারকিয়া, দাখিলিয়া, আল উস্তা ও মাস্কাটের কিছু অংশে প্রবল বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এসব অঞ্চলে ২০ থেকে ৭৫ মিলিমিটার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে, আকস্মিক বন্যা দেখা দিতে পারে ওয়াদি অঞ্চলে। একইসাথে ঘন্টায় ২৮ থেকে ৬৪ কিলিমিটার গতিতে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে।
পূর্বাভাষ অনুযায়ী, কিছু অঞ্চলে ধুলি ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এসময় সাগরের পানি সাড়ে ৩ মিটার উচ্চতায় উঠতে পারে। উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসরত সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বৃষ্টিপাতের সময় ওয়াদি অর্থাৎ পাহাড়ি নিম্নাঞ্চল পারাপার না হতে বলা হয়েছে। সেইসাথে নিচু স্থানে যাওয়া থেকেও বিরত থাকতে অনুরোধ জানিয়েছে সিভিল এভিয়েশন অথরিটি।
আরও দেখুনঃ
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post