করোনার কারণে বিহত দুটি বছর রমজানে দেখা যায়নি তেমন উৎসাহ উদ্দীপনা। তবে, চলতি বছর নিয়ে অনেক আশায় ছিলেন ওমানের ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিরা। সারাদিন রোজা রেখে একসাথে মসজিদে ইফতার করবেন এমন আশায় ছিলেন মুসুল্লিরা। তবে, করোনার কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী এই আয়োজন আর চালু হয়নি ওমানে। এতে করে হতাশা ব্যক্ত করেছেন হাজার হাজার রোজাদার মুসলমান শ্রমিক এবং দিনমজুর।
ওমানের মসজিদগুলোতে এই বছর কোন ইফতার সরবরাহ করা হচ্ছে না। করোনা মহামারীর কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া এই আয়োজন আর চালু হয়নি ওমানে। এতে করে হাজার হাজার রোজাদার মুসলমান শ্রমিক এবং দিনমজুর হতাশা ব্যক্ত করেছেন। করোনা মহামারীর আগে শহরের মসজিদগুলোতে হাজার হাজার রোজাদারদের ইফতারের ব্যবস্থা থাকতো। তবে করোনার পর পূর্বের ন্যায় আর মসজিদে সেই ইফতার আয়োজন লক্ষ করা যাচ্ছেনা ওমান। এবছর কিছু কিছু স্থানে নাম মাত্র পানি ও খেজুর বিতরণ করছে। যদিও ঐতিহ্যবাহী এই ইফতার বন্ধের ব্যাপারে সরকারের থেকে কোন সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়নি, কিন্তু তবুও কেন মসজিদে ইফতার আয়োজন হচ্ছেনা এ নিয়ে হতাশ রোজাদাররা।
প্রবাসীদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, পূর্বে কাজ শেষে আশেপাশের মসজিদে এসে তারা ইফতার করতেন। এতে একদিকে যেমন একত্রে ইফতার করার একটা আলাদা আমেজ পাওয়া যেত, তেমনি অর্থও সাশ্রয়ী হত। রমজান আসলে মসজিদের ইফতার এবং সাহরি খেয়ে অনেকেই গোটা মাস অর্থ সাশ্রয় করতেন। হতাশা ব্যক্ত করে আব্দুল্লাহ নামে এক প্রবাসী বলেন, মুসলিম ভাইদের কাজের সময় কমানো হলেও আমরা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অফিসে কাজ করি না। আমরা কঠোর পরিশ্রম করি এবং প্রায়শই ছয় ঘণ্টা কাজ করতে হয়। সময়মতো আমাদের রুমে ফিরে যাওয়া, ফ্রেশ হওয়া, কাপড় পরিবর্তন করা এবং তারপর রান্না করা অসম্ভব।
এই রমজানে মসজিদগুলোতে ইফতার না হওয়ার বিষয়টি সবচেয়ে বেশি অবাক করেছে সবাইকে। রবিউল নামে এক প্রবাসী পরিচ্ছন্নতাকর্মী বলেন, করোনার পূর্বে ইফতারের জন্য রুই কাবুস মসজিদে যেতাম, বন্ধুরা মিলে একত্রে ইফতার করতাম, আলাদা একটা আমেজ ছিলো। মাঝে করোনার কারণে মসজিদে ইফতার বন্ধ করে দেয় ওমান সরকার, কিন্তু এখন তো সব স্বাভাবিক, তাহলে এখন কেন মসজিদে ইফতার থেকে আমাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে?
রবিউলের মত এমন প্রশ্ন হাজারো প্রবাসীর। মাস্কাটের সবচেয়ে জমজমাট ইফতার হতো এমন কিছু স্থানের মধ্যে রয়েছে, সুলতান কাবুস গ্র্যান্ড মসজিদ গোবরা, আল খয়ের যাওয়াবি মসজিদ, আল আমিন মসজিদ, হামরিয়ার বলদিয়া মসজিদ, আল খুদ সহ রাজধানির আরো কিছু মসজিদ। সবগুলো মসজিদ ঘুরে দেখা গেছে দৃশ্যত, শহরের কোনো মসজিদেই ইফতার দিচ্ছে না।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post