বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচক বা গ্লোবাল টেরোরিজম ইনডেক্সে (জিটিআই) বিশ্বে যেকয়টি দেশে সন্ত্রাসবাদের মাত্রা অতি সামান্য, তার মধ্যে রয়েছে ওমান। অর্থাৎ ওমানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে কোন সম্পৃক্ততা নেই। ওমান ছাড়া কাতার ও কুয়েত রয়েছে এই তালিকায়। ২০২৩ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী গত পাঁচ বছরে কোনও সন্ত্রাসী হামলা না হওয়া এই তিনটি জিসিসি রাষ্ট্র এখনও শূন্য স্কোর করেছে এবং সূচকে সর্বনিম্ন স্থান (৯৩ তম) অর্জন করেছে।
রবিবার (২৬ মার্চ) মাস্কাট ডেইলির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি আরব তার আগের অবস্থান থেকে উন্নীত হয়ে ৬৩ তম স্থানে নেমে এসেছে, এটি এখনও জিসিসিতে সর্বনিম্ন নিরাপদ দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত আছে। তারপরে সবচেয়ে উন্নতি করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, যা ২০ ধাপ এগিয়ে ৭৬ তম স্থানে উঠে এসেছে আর বাহরাইন ১৪ ধাপ উন্নতি করে ৭৯ তম স্থানে রয়েছে।
সন্ত্রাসবাদের প্রভাব নেই—এমন ১০ দেশ হলো যথাক্রমে বেলারুশ, গিনি-বিসাউ, ওমান, গাম্বিয়া, উত্তর কোরিয়া, ইরিত্রিয়া, সিঙ্গাপুর, পূর্ব তিমুর, মরিশাস ও তুর্কমেনিস্তান। এসব দেশের প্রতিটিরই স্কোর শূন্য। তারা রয়েছে ১৩৮তম অবস্থানে। আন্তর্জাতিক থিংক ট্যাঙ্ক ইন্সটিটিউট অব ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস কর্তৃক প্রণীত এই সূচকটি বিশ্বের ১৬৩টি দেশের সন্ত্রাসবাদের প্রভাব বিশ্লেষণ করে প্রকাশিত করা হয়।
এ বছরের সূচকে দেখা গেছে, গত চার বছরে স্থিতিশীল থাকার পর সন্ত্রাসবাদে মৃত্যুর সংখ্যা ৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৭০১ জনে। এটি ২০১৫ সালের থেকে ৩৮ শতাংশ কম, কারণ সেসময় ১০ হাজার ৮৮১ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০১৯ সালের পর প্রথমবারের মতো ২০২২ সালে সন্ত্রাসী হামলা হ্রাস পেয়েছে, ২০২১ সালে ৫ হাজার ৪৬৩ থেকে ২৮ শতাংশ কমে ৩ হাজার ৯৫৫ হয়েছে।
সন্ত্রাসবাদের মৃত্যুর হার হ্রাসের জন্য আফগানিস্তানকে দায়ী করা যেতে পারে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, তালেবানরা সরকারের নিয়ন্ত্রণ অর্জনের পরে সন্ত্রাসবাদে মৃত্যুর সংখ্যা ৮৬৬-এ হ্রাস পেয়েছে। যদি আফগানিস্তানকে এই পরিসংখ্যান থেকে বাদ দেওয়া হত, তাহলে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের মৃত্যুর হার চার শতাংশ বেড়ে যেত।
জিটিআই-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ছয় বছরে মেনা (উত্তর আফ্রিকা) অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য-ভাবে হ্রাস পেয়েছে, এই অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদের মৃত্যুর অনুপাত ২০১৬ সালে ৫৭ শতাংশ থেকে কমে ২০২২ সালে মাত্র ১২ শতাংশে নেমে এসেছে।
২০২০ সালের পর থেকে সিরিয়ায় সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসী হামলায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, অন্যদিকে ইরাকে সবচেয়ে বেশি হামলা হয়েছে। সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেন, মিশর, আলজেরিয়া এবং লিবিয়া সন্ত্রাসবাদের দ্বারা সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে। তবে কুয়েত, কাতার, ওমান এবং মরক্কোর মতো অন্যান্য দেশে গত পাঁচ বছরে কোনও সন্ত্রাসী হামলা রেকর্ড করা হয়নি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post