মালয়েশিয়া শ্রম বাজারে শৃঙ্খলা ফেরাতে কাজ করছে দেশটির নতুন সরকার। ইতিমধ্যেই বিদেশি কর্মী নিয়োগের জন্য মালয়েশিয়ার স্থানীয়দের বরখাস্ত করা হলে নিয়োগকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি সোশ্যাল সিকিউরিটি অর্গানাইজেশনের (সকসো) এক প্রোগ্রামে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী বলেন, সরকার যদি দেখতে পায়, বিদেশিদের জন্য স্থানীয় শ্রমিকরা তাদের কাজ হারিয়েছেন, তাহলে কোনো অজুহাত গ্রহণ করা হবে না। নিয়োগকর্তার বিরুদ্ধে নেওয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।
তিনি বলেন, বিদেশি কর্মী নিয়োগে সরকারের শিথিলতায় বিদেশি শ্রমিকদের সঙ্গে স্থানীয়দের প্রতিস্থাপন করা ঠিক নয়। এদিকে ম্যানুফ্যাকচারিং, নির্মাণ, বৃক্ষরোপণ, কৃষি এবং পরিষেবার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে বিদেশি কর্মী নিয়োগের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমিকদের ছাঁটাই করা হয়েছিল এমন দাবী বেশ কয়েকটি সংস্থার।
এদিকে স্থবির শ্রমবাজারে গতি আনতে অভিবাসন ব্যয় কমাতে চায় মালয়েশিয়া। রোববার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুসন বিন ইসমাইল।
বৈঠকে আলোচনার একটা বড় অংশ জুড়েই ছিল আগের করা সমঝোতা চুক্তি। বিদেশি কর্মীদের সম্মান রক্ষা ও অভিবাসন ব্যয় কমাতে চায় মালয়েশিয়া সরকার এমনটি জানিয়েছেন মন্ত্রী। বর্তমান প্রক্রিয়ায় যদি সেই লক্ষ্যে পৌঁছানো না যায়, তাহলে সমঝোতা চুক্তিতে পরিবর্তন আনতে প্রস্তুত মালয়েশিয়া এমন কথাও বলেছেন মন্ত্রী। এদিকে, মন্ত্রীর এমন কথায় আশার আলো দেখছেন রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকরা। নতুন সমঝোতা চুক্তি হলে মালয়েশিয়া শ্রম বাজার সিন্ডিকেট মুক্ত হবে এবং এতে সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে শ্রমিক পাঠানো যাবে বলে তারা দাবী করছেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post