সৌদি প্রবাসী যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৭টার দিকে শরীয়তপুরের জাজিরায় পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের ফকির মাহমুদ আকন কান্দী গ্রামে নিজ ঘরে ফ্যানের সঙ্গে রশি পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় পাওয়া যায় প্রবাসী (৩৫) হানিফ শাহকে।
রোববার (২২ জানুয়ারি) রাতে জাজিরা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, হানিফ শাহ জাজির পৌরসভার ফকির মাহমুদ আকন কান্দি গ্রামের নয়ন শাহর মেজো ছেলে। তার ৮ বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে। তিন মাস আগে দেশে ফেরেন তিনি।
স্থানীয়দের ধারণা, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে আত্মহত্যা করেছেন হানিফ শাহ। তারা জানান, হানিফের স্ত্রী সুমি আক্তারের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবৎ ঝগড়া চলছে তার চার বোনের। তাদের এই দ্বন্দ্ব থামাতে না পেরে মানসিকভাবে ভেঙে পরেন হানিফ শাহ। জেদের বসে পরে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। হানিফ শাহর মৃত্যু নিয়ে তার স্ত্রী সুমি আক্তার ও মা-বোনেরা পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করছেন।
সুমি আক্তার বলেন, স্বামী প্রবাস থাকাকালীন সময়ে আমাকে আমার শাশুড়ি ও ননদেরা মারধর করতেন। দেশে আসার পর থেকেই তারা বিভিন্ন ভাবে আমাকে হুমকি দিত যে, আমাকে তারা বিধবা বানাবে বা আমি তার ভাইয়ের সংসার করতে পারব না। রোববার সকালে আমি বাবার বাসায় আসি। এরপর ফোনে খবর পাই, রুমের ভেতর ফ্যানের সঙ্গে রশি পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছেন আমার স্বামী। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।
অন্যদিকে নিহত হানিফ শাহ’র মা ও বোনদের দাবি, তারা নন, পুত্রবধূই নানাভাবে অত্যাচার করতেন তাদের। ওই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই হানিফ আত্মহত্যা করেছে। জাজিরা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানে হয়। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। যদি কেউ অভিযোগ করে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post